ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার উপস্থিতি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পতনের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার মূল কারণ ছিল কোটা সংস্কার।
ছাত্ররা বিশেষত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য বরাদ্দ ৩০ শতাংশসহ মোট ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কারের দাবি তুলেছিলেন। তবে সরকার পতনের পরও এ বছর মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনিদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও, সময়ের স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে কোটা সংস্কার এ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হলেও সেই কমিটির কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।
শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীরা এই সিদ্ধান্তকে জুলাই বিপ্লবের চেতনার বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন।
অনেকেই মনে করছেন, কোটার বর্তমান অবস্থা পরিবর্তন না করলে এটি মেধাবীদের জন্য বৈষম্যমূলক হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের অনলাইন আবেদন গ্রহণ ও ফি জমা দেয়া শুরু হয়েছে সোমবার দুপুর ১২টায়। এ প্রক্রিয়া শেষ হবে ২৫ নভেম্বর রাত ১১:৫৯ মিনিটে।
আরও পড়ুন: