কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: জসিম উদ্দিন বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগ পত্রে তারা বলেন, জসিম উদ্দিন তার শিক্ষকতাকালীন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর ধর্মীয় আচরণকে কটাক্ষ্য করেন এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানেন। বিশেষ করে পর্দানশীন শিক্ষার্থীরা বরবারই তার রোষানলে পড়েছে। পর্দানশীন ছাত্রীদেরকে জোর করে নিকাব খুলানো, পর্দা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, জঙ্গী ট্যাগ দেয়া, ভাইভার মধ্যে নিকাব খুলতে বাধ্য করা, খুলতে না চাইলে মৌখিক হেনস্থা ও পরীক্ষায় নাম্বার কমিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাদের মানসিক নির্যাতন ও ব্যাক্তিগত স্বাধীনতায় আঘাত হেনেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে তিনি যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্য করেছেন। সদাচরণবহির্ভূত মন্তব্য শিক্ষার্থীদের জন্যে অপ্রস্তুতসুলভ ও অপমানজনক। তার এমন বৈষম্যমূলক আচরনে বহু শিক্ষার্থীর একাডেমিক ও ক্যারিয়ারে বিরুপ প্রভাব পড়ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, যৌন হয়রানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আমি আঘাত হানতে পারি না। এসব অভিযোগ মিথ্যা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, আমি এখনো অভিযোগ পত্র পাইনি। পেলে এ বিষয়ে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তবে এসব বিষয়ে প্রশাসন সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। পূর্বে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে যা নিয়ে এখনো তদন্ত চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও মো. জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, পরিক্ষার মার্ক টেম্পারিং, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ এনেছিলো শিক্ষার্থীরা। যার তদন্ত এখনও চলমান।
আরও পড়ুন: