লেখক রাশেদুল ইসলাম রচিত ‘ডারউইন তত্ত্ব ও মডেল মসজিদ এবং ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহ’ গ্রন্থটির প্রকাশনা উপলক্ষ্যে শনিবার বিকাল ৩টায় বাংলা একাডেমীর কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় লেখক গ্রন্থের বিষয়বস্তু এবং পটভূমি তুলে ধরে বলেন, এদেশে ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের কতিপয় মৌলিক বিধান উপেক্ষিত হওয়ার কারণে মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
গ্রন্থটি রচনার মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখক জানান, দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কোরআন ও হাদিসের ওইসব উপেক্ষিত বিধানগুলি যথাযথভাবে অনুশীলনের সুযোগ সৃষ্টি হলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসন সম্ভব। লেখক এ গ্রন্থে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকার, মসজিদের ইমাম ও দেশের আলেমগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও লেখক এ বইতে ডারউইন তত্ত্ব নিয়েও সমালোচনা করে লিখেছেন, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষ কখনোই বানর থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান রুপ লাভ করতে পারেনা।
তিনি তার বইতে যুক্তির মাধ্যমে ডারউইন তত্ত্ব যে ভুল এবং কল্পনাপ্রসূত তা ব্যাখ্যা করেছেন।
পুস্তক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী এবং গ্রন্থ উপস্থাপনায় ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থাপক, কবি ও গবেষক ড. সাঈফ ফাতেউর রহমান।
অনুষ্ঠানে নির্ধারিত দুইজন আলোচকের ভূমিকায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও লেখক জনাব নাসির হেলাল এবং অপরজন তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল হাই।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও সাভার কোরআন গবেষণা ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. মো। আব্দুল্লাহেল বাকী।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অত্যন্ত সময় উপযোগী এ ধরণের একটি বই লেখা ও প্রকাশের জন্য ইছামতি প্রকাশনী এবং অর্পণ-দর্পণ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইছামতি প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী জনাব মুহাম্মদ রশিদুর রহমান।
মাহবুব শাহরিয়ার হুসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন অর্পণ-দর্পণ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শারমিনা পারভিন ।
অর্পন-দর্পন স্মৃতি ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। সোসাইটিজ আইন, ১৮৬০ এবং বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬ এর আওতায় প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধনকৃত।
‘নিজে সৎকাজ করি এবং অন্যকে সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করি’-এই ব্রত নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে আসছে।
এ গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানটি ফাউন্ডেশমের আওতায় অন্যকে সৎকাজে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির একটি অংশ।
আরও পড়ুন: