শুক্রবার

৩১ জানুয়ারি, ২০২৫
১৭ মাঘ, ১৪৩১
,

ছাত্রদলের টেন্ট বানাতে আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ ইবি প্রশাসনের

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৬:১৭

আপডেট: ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৬:১৭

শেয়ার

ছাত্রদলের টেন্ট বানাতে আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ ইবি প্রশাসনের
ছাত্রদলের টেন্ট বানাতে আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ। বাংলা এডিশন

শিক্ষার্থীদের তহবিল থেকে তৈরি হচ্ছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের বসার স্থান (টেন্ট)।  ক্যাম্পাসের ঝালচত্বরের আমবাগানের বিপরীত পাশে কিছু গাছের শিকড় কেটে চলছে টেন্ট তৈরির কাজ।

প্রকৌশল অফিস ও কোষাধ্যক্ষ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থী তহবিল থেকে ছাত্রদলকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের দাবি, শিক্ষার্থীদের বসার জন্যই টেন্টটি তৈরি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে নিজের প্রচেষ্টায় করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আমবাগানে সাধারণ শিক্ষার্থী বসার জন্য টেন্ট বানাতে প্রকৌশল অফিসে একটি আবেদন দেওয়া হয়। আবেদনটিতে সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষে ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ সই করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রকৌশল অফিস নোট-মার্ক দিলে শিক্ষার্থী তহবিল থেকে এই অর্থ বরাদ্দ দেয় প্রশাসন।

বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ক্যাম্পাসজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। শিক্ষার্থীরা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য টেন্ট বানানোর প্রয়োজন পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃকপক্ষ দেখবে। ছাত্রদলের মাধ্যমে যদি এ কাজ করাতে হয় তাহলে প্রশাসনের কাজ কী? আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিমাণ টেন্ট রয়েছে, সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে তা শিক্ষার্থীদের বসার জন্য পর্যাপ্ত। এসব কাজের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ফের দুর্নীতির পথ খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের বসার জন্য টেন্ট বানাতে আমি আবেদন করে এই বরাদ্দটা নিয়েছি। ছাত্রদলকে বরাদ্দ দিয়েছে বলে যে শুধু ছাত্রদলই এখানে বসবে এমন না, সবাই বসতে পারবে। সব শিক্ষার্থীর জন্য এটি তৈরি হচ্ছে। একটি মহল ছাত্রদলের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। সংগঠনকে হেয় করার জন্য সব কিছুই অতিরঞ্জিত করে ফেলে। আমরা বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে আবেদন বা স্মারকলিপি দিয়েছি। সেগুলো পাশ হলে কি শুধুই ছাত্রদলের বলবে? এক্ষেত্রে একটা টেন্ট বানানো নিয়ে ক্যাম্পাসে অপপ্রচার হচ্ছে বলে দাবি তার।

প্রকৌশল অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ.কে.এম. শরীফ উদ্দীন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বসার জন্য আমবাগানে টেন্ট বানাতে একটি আবেদন এসেছিল। আবেদনপত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে ছাত্রদলের আহ্বায়ক সই দিয়েছিলেন। পরে আমবাগানে টেন্ট বানাতে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি শুধু বরাদ্দের অর্থ ছাড় দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের জন্য যে ফান্ড রয়েছে, সেখান থেকে টাকাটা দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত বিল পাশ আগের প্রশাসন দিতে পারে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানি না।