শুক্রবার

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
৮ ফাল্গুন, ১৪৩১
২২ শা’বান, ১৪৪৬

কুয়েটে হামলা: ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্রদলের আলাদাভাবে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ০৮:২৫

শেয়ার

কুয়েটে হামলা: ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্রদলের আলাদাভাবে বিক্ষোভ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আলাদা আলাদা বিক্ষোভ মিছিল করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৮টায় ঢাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিক্ষোভ মিছিলটি ভিসি চত্বর ঘুরে ফের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

অন্যদিকে, একই সময়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে কিছুটা দূরে ডাস ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় ঢাবি ছাত্রদল বিক্ষোভ করছিল।

কুয়েটে ছাত্ররাজনীতিকে কেন্দ্র করে আজ দুপুর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

এরপর সন্ধ্যায় ‘কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

অন্যদিকে, কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে অপব্যবহার করে ফরম বিতরণের অভিযোগ এনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ‘গুপ্ত সংগঠন’ শিবির ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কতিপয় সন্ত্রাসীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি দেয় ঢাবি ছাত্রদল।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে যারা ছাত্রলীগের মতো শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করবে তাদের পরিণতি ও ছাত্রলীগের মতো হবে। ছাত্র রাজনীতি করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ভাষা বুঝে রাজনীতি করতে হবে। ছাত্রদলকে জালিম না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আগামীকাল ৩ টায় টিএসসিতে আওয়ামী লীগের নির্যাতনের ভিডিও চিত্র প্রদর্শনীর ঘোষণাও আসে এ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।

ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা বলেন, কুয়েটের ঘটনায় ছাত্রদলকে জড়িয়ে কলুষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের সংগঠন সুশৃঙ্খল। দেশে যে অসুস্থ রাজনীতি চলছে, তা প্রতিহত করবে ছাত্রদল।

কুয়েটে হামলার এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রদলের অনুসারীরা এই হামলায় জড়িত। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পরও তা ফেরানোর চক্রান্ত চলছে।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল। তাদের দাবি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে অপব্যবহার করে ফরম বিতরণের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তারা। এ সময় নেতাকর্মীদের ওপর শিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কিছু সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।