শুক্রবার

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
১৬ ফাল্গুন, ১৪৩১
,

রমজানকে স্বাগত জানিয়ে ইবি শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য র‍্যালি

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৫:৫৮

শেয়ার

রমজানকে স্বাগত জানিয়ে ইবি শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য র‍্যালি
ইবি শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য র‍্যালি। বাংলা এডিশন

পবিত্র মাহে রমজানের আগমন উপলক্ষ্যে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে বর্ণাঢ্য র‍্যালি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে র‍্য্যালি বের করা হয়। পরে র‍্যালি নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে রমজানের উপরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করে। পরে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে র‍্যালি শেষ হয়।

র‍্যালিতে শিক্ষার্থীরা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’, ‘আহলান সাহলান, মাহে রমজান,’ ‘দিনের বেলা পানাহার, বন্ধ করো করতে হবে’, ‘রমজানের পবিত্রতা, রক্ষা করো করতে হবে’, ‘অশ্লীলতা বেহায়াপনা, বন্ধ করে করতে হবে’, ‘বদরের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘বিশ্বের মুসলিম, এক হও লড়াই করো’, ‘দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি, বন্ধ করো করতে হবে’সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।

জমিয়তে তালাবার সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন বলেন, মাহে রজানের পবিত্রতা রক্ষায় আজকের এই র‍্যালি শুধুমাত্র কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং এটি বিশ্বব্যাপী জানান দেওয়া যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মাহে রমজান ও ইসলামী সংস্কৃতি ধারণ ও লালন করে।  সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এই সংস্কৃতি পৌঁছে দিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় ভূমিকা রাখবে। আমরা সিয়াম পালন, তারাবি নামাজ ও ইফতার গ্রহণের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করবো।

আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আবু মূসা বলেন, রমজান সিয়াম সাধনা ও পবিত্রার মাস। কিন্তু এই রমজানকে কেন্দ্র করে এক প্রকার সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যায়। যেকোনো মূল্যে এই সিন্ডিকেটের বিলোপ করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে ইসলামের প্রতিনিধিত্বকারী একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকল অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা বন্ধ করতে হবে। এই মাস একই সাথে বদরের মাস। তাই আমরা বদরে চেতনায় গড়ে উঠবো।

শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই এই রমজান শুধু রোজা রাখার জন্য আসেনি। এটি তাকওয়া অর্জনের মাস। তাই আমরা রমজানের শিক্ষাকে ধারণ করে সারা বছর তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবো। আমরা মনের কুপ্রভ্রিত্তিকে দূর করে ভালো কাজের দিকে এগিয়ে যাবো। হলের ডাইনিংয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সু ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাতে তাদের যেন কোনো কষ্ট না হয়। আমরা রমজানের শিক্ষাকে মনে প্রাণে ধারন করবো। এবং সেই অনুযায়ী কাজ করবো।