
বাসে জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে মালিকপক্ষের প্রতিশ্রুতি ।
রাজধানীতে চলাচলকারী ভিক্টর ক্লাসিক বাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে বাস মালিকপক্ষ দোষ স্বীকার করে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
সোমবার (১৭ মার্চ) এক নারী শিক্ষার্থী বাসে ওঠার পরপরই চালক ও সহকারী তাকে উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য করতে থাকেন এবং শারীরিকভাবে হেনস্তার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী বাসে থাকা অন্য যাত্রীদের সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে তিনি বাস থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জবি নিরাপত্তা সেল’-এ অভিযোগ করেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ‘জবি নিরাপত্তা সেল’ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিক্ষোভ করে এবং ভিক্টর ক্লাসিক মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনায় বসে। মালিকপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো: শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করার দায় ভিক্টর ক্লাসিক মালিক সমিতিকে নিতে হবে, অভিযুক্ত স্টাফদেরকে চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্ত ভাড়া মওকুফ করতে হবে। এবং পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদেরকে যথোপযুক্ত মর্যাদা দিতে হবে।
ভিক্টর ক্লাসিক সকল বাসের স্টাফ, ড্রাইভার, হেল্পার ও কন্ট্রাক্টরকে নিয়মিত কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
নারী শিক্ষার্থীদেরকে এবং যাত্রীদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে কি-না, এজন্য প্রতিটি বাসে অভিযোগ বক্স রাখতে হবে, জরুরি পুলিশ সহায়তার জন্য সরকারী হটলাইন নম্বর রাখতে হবে, মানবাধিকার সংস্থার হটলাইন নম্বর রাখতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা ঘটলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ভিক্টর ক্লাসিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক মানিক ও সহ-সভাপতি মো. আসলাম শিক্ষার্থীদের দাবির বাস্তবায়নে স্বাক্ষর করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রক্টর তাজাম্মুল হকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরেও ভিক্টর ক্লাসিক বাসে জবির আরেক ছাত্রী হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। সে সময়ও ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ১১টি বাস আটকে রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: