
ইবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি: বাংলা এডিশন
গাজায় ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর ইজরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলার ঘঠনায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশের অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, গতরাতেই খবর পেলাম যে ইসরাইলি হামলায় নারী-শিশু-বৃদ্ধ সহ ৪০২ জন শহিদ হয়েছেন। এই নির্যাতনের শেষ কোথায়? আমরা পশ্চিমা রাষ্ট্রের মানবাধিকারের বুলির কথা বলবো না, তবে মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বাধীন দেশগুলো বিলাসবহুল জীবন যাপন করে যাচ্ছে কেন? আজকে গাজায়, পরদিন আপনার (মুসলমান রাষ্ট্র) দেশে আক্রমণ করবে না কী বিশ্বাস? চুপ থাকলে তো আপনার জীবনেরও নিরাপত্তা নেই। সুতরাং মুসলিম বিশ্ব এক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর থেকে ইসরাইল যে নৃশংস হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে তাতে বিশ্ব মানবাধিকার নামক সংস্থাগুলো নিশ্চুপ রয়েছে। মনে হচ্ছে এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো শুধু মুসলিম উম্মাহকে ধ্বংস করতে বা ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য গঠিত হয়েছে। যখনই মুসলিম উম্মাহ এক হওয়ার জন্য চেষ্টা করে তখন জাতিসংঘ নামক কুতন্ত্র, ইহুদিতন্ত্র সংস্থা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, আজ নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিতে লজ্জিত। যে মুসলিম জাতি অপর মুসলিম ভাইকে রক্ষা করতে পারে না, সেই মুসলিম জাতি হিসেবে লজ্জিত বোধ করতেছি।
হাসানুল বান্না নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ৫৭ টি মুসলিম দেশ নিয়ে যে ওআইসি গঠিত হয়েছিল। আজকের ঘটনাগুলো দেখে সেই সংস্থার নামটা মুখে নিতে লজ্জা হচ্ছে। মুসলমানপর স্বার্থে গঠিত হলেও সেইভাবে ভূমিকা রাখতে পারেনি সংস্থাটি। এটি সৌদি সরকারের ব্যর্থতা। ২০২৫ সালে এসে সম্প্রতি যুদ্ধ বিরতি নামক ধোঁকা ঘোষণা দিয়ে আবারও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালালো সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল।
শাখা সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, আমাদের বিভিন্ন ধরনের চলাফেরা বা মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রশ্নে বা যখন আমাদের ভাইয়ের ওপর আঘাত আসবে তখন বিশ্ব মুসলিম এমনভাবে শক্ত হাতে দাঁড়াতে হবে যেন প্রত্যেকটা মুসলিম ভাইদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারি। আমরা দেখেছি, অমুসলিম বা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর নির্যাতিত হলে মুসলিম বিশ্ব তাদের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বা হত্যাযজ্ঞের সময় পুরো বিশ্ব চুপ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: