
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে রক্তাক্ত হলেও নবগঠিত কমিটিতে উপেক্ষিত থাকার অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রদল কর্মী। তাদের দাবি, আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকার করেও ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কমিটিতে জায়গা পাননি তারা।
অভিযোগকারী কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন ২০২২-২৩ সেশনের ফয়সাল কামাল, ২০১৭-১৮ সেশনের মার্কেটিং বিভাগের অর্ণব, ২০১৯-২০ সেশনের ইসরাফিল ও নাসিম, এবং ২০১৭-১৮ সেশনের আতিক সিয়াম।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৬০ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে জুলাই আন্দোলনে গুরুতর আহত ফয়সাল কামালসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী এতে স্থান পাননি।
ফয়সাল কামাল বাংলা এডিশনকে বলেন, ‘ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই। আন্দোলনের সময় দলীয় নির্দেশনায় প্রতিদিন মোহাম্মদপুর থেকে পুরান ঢাকায় এসে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। ১৬ জুলাই যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় রক্তাক্ত হই এবং গুরুতর আঘাত নিয়ে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলাম। কিন্তু এই ত্যাগের কোনো মূল্যায়ন পাইনি। দলের পক্ষ থেকে আজও কোনো সাহায্য করা হয়নি’
তিনি আরও বলেন, ‘নবগঠিত ৪৬০ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটিতে আমাকে রাখার প্রয়োজন মনে করা হয়নি। অথচ মাই ম্যান কোটায় অনেকেই স্থান পেয়েছেন, যাদের ৫ আগস্টের আগে কোনো দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। দলের জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের সাথে এই আচরণ মেনে নেওয়া কঠিন।’
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী আরেক কর্মী সিয়াম বলেন, ‘আমরা যারা মাঠে থেকে লড়াই করেছি, আমাদের বাদ দিয়ে রাজনীতির সুবিধাভোগীদের স্থান দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনে আমার রক্ত ঝরেছে। আন্দোলনে কারা কী ভূমিকা রেখেছে, সেটা স্পষ্ট সবার কাছে। আমরা দলের জন্য কাজ করেছি, অথচ আমাদের উপেক্ষা করা হলো।’
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘আমরা ২০২২-২৩ সেশনের কোনো শিক্ষার্থীকে এই কমিটিতে রাখিনি। সর্বশেষ ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী পর্যন্ত স্থান দেয়া হয়েছে। ডিপার্টমেন্ট ও অনুষদভিত্তিক যে কমিটিগুলো হবে, সেখানে তাদের রাখা হবে।’
উল্লেখ্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক ও শামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ৪৬০ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: