
ছবি :বাংলা এডিশন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) জন্য গৌরবজনক অর্জন এনে দিলেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আতাউল গনি। সম্প্রতি সম্প্রতি ২৬–২৮ মার্চ তারিখে স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত International Conference on Advanced Remote Sensing (ICARS-2025)-এ অংশগ্রহণ করে তিনি Early Career Researcher Award অর্জন করেছেন।
বিশ্বের খ্যাতনামা গবেষক ও বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে ড. আতাউল গনি তার গবেষণা প্রবন্ধ "Estimation of sediment nitrogen fixation using remote sensing data" উপস্থাপন করেন। তার গবেষণাকর্মের গুণগত মান, গবেষণাপদ্ধতির অভিনবত্ব এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার গুরুত্ব বিবেচনায় আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা MDPI - Publisher of Open Access Journals তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করে।
উল্লেখ্য, Early Career Researcher Award ক্যাটাগরিতে দুইটি পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং ড. আতাউল গনি প্রথম পুরস্কারের মর্যাদা লাভ করেন। এই স্বীকৃতি তার গবেষণার প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বিশেষজ্ঞদের আস্থা ও প্রশংসার প্রতিফলন।
পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ড. মোঃ আতাউল গনি বাংলা এডিশন কে জানান, "নিজ গবেষণা কাজ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা স্বীকৃতি পাওয়া সত্যিই এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি। এই সম্মান আমাকে ভবিষ্যতে আরও মনোনিবেশ ও উদ্ভাবনী গবেষণায় কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।"
তার গবেষণাকর্মের মূল লক্ষ্য ছিল রিমোট সেন্সিং ডেটা ব্যবহার করে পানির তলদেশে (sediment) নাইট্রোজেন স্থায়ীকরণের (nitrogen fixation) পরিমাণ নির্ণয় করা, যা পরিবেশ ব্যবস্থাপনায়, জলাভূমি সংরক্ষণে এবং টেকসই কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ড. আতাউল গনির এই অসাধারণ অর্জনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ ও গর্বের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, "ড. আতাউল গনির এই আন্তর্জাতিক সম্মান আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান ও সক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। আমরা তার এই অর্জনে গর্বিত এবং ভবিষ্যতেও তার সাফল্য কামনা করছি।"
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার আহমেদ তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, "ড. আতাউল গনির গবেষণাকর্ম আমাদের বিভাগের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। এই অর্জন আমাদের গবেষণাধারাকে আরও বেগবান করবে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা তার এ অর্জনকে দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন।
আরও পড়ুন: