শনিবার

১৯ এপ্রিল, ২০২৫
৬ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

উপর মহলের নির্দেশে ইবির গবেষণাগারে রাত ৮টার পর প্রবেশে বাঁধা

ইবি প্রতিনিধি,

প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১৩:৫৪

শেয়ার

উপর মহলের নির্দেশে ইবির গবেষণাগারে রাত ৮টার পর প্রবেশে বাঁধা
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন বিভাগের ল্যাবে চব্বিশ ঘণ্টা গবেষণার সুযোগ থাকলেও উপর মহলের নির্দেশ দেখিয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা রাত ৮টার পর ল্যাব বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনাকে গবেষণার পথ রুদ্ধ বলে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি ইজমাতুল ফেরদৌস লিভা ও সাধারণ সম্পাদক জুনাইদুল মোস্তফা স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংসহ একাধিক বিভাগে গবেষণাভিত্তিক কিছু পড়াশোনা রয়েছে, যেথানে নিরলসভাবে একাডেমিক, টেকনিক্যাল ও গবেষণাভিত্তিক কাজ পরিচালিত হয়। এসব কাজে আধুনিক প্রযুক্তি ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার ইত্যাদি সুবিধাসমূহ ব্যবহারকল্পে নির্ধারিত গবেষণাকাজে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনুমতিসহ সারা দিন-রাত এমনকি ল্যাবরেটরি পরিবেশে কাজ করে থাকেন।

কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগ হতে মৌখিকভাবে নির্দেশ এসেছে রাত দশটার পর কোনো বিভাগের ল্যাবে শিক্ষার্থীদের অবস্থান করতে দেয়া হবে না। এমনকি বিভাগের প্রধান ও শিক্ষকদের অনুমতিপত্র থাকলেও সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্মী কর্তৃক বের করে দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধু নিয়মবহির্ভূত নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ও গবেষণাকেন্দ্রিক প্রচেষ্টায় সরাসরি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব এমন অবাঞ্ছিত অবস্থার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং গবেষণাকাজের নিরবচ্ছিন্ন ল্যাব-ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

এছাড়াও এ বিষয়ে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু রেজা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ ও দাবি করে বলেন, ‘ল্যাব ব্যবহারে অহেতুক ও অযৌক্তিক বাধা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, গবেষণাকাজে প্রয়োজনীয় সময় ও পরিসরের নিশ্চয়তা দিতে হবে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্মানজনক ও সহযোগিতামূলক আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।’

banner close
banner close