রুপালি গিটার ফেলে সত্যি সত্যি চলে গেছেন সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর সব ফেলে হঠাৎ তার চলে যাওয়া কেউ-ই মেনে নিতে পারেননি। শুক্রবার তার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী।
২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর ঘুম ভাঙতেই এক দুঃসংবাদ পায় দেশবাসী। আইয়ুব বাচ্চু আর নেই! তার এমন সংবাদ যেনো হতভম্ভ করে দেয় তার ভক্তদের।
কিংবদন্তী এই শিল্পী বিদায় নেন মাত্র ৫৬তেই। এখন তার রুপালি গিটারটিও হয়তো রয়ে গেছে। সঙ্গে রেখে গেছেন- সেই তুমি, এক আকাশে তারা, ফেরারি মন, আমি বারো মাস, এখন অনেক রাত, রূপালী গিটারসহ অসংখ্য কালজয়ী গান। তবে প্রতিভা বলতে যদি বোঝায় শুধু আইয়ুব বাচ্চু, তাহলে তাই-ই।
১৯৮৩ সালে মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় আসেন আইয়ুব বাচ্চু। এরপর কঠোর পরিশ্রমে নিজেকে গড়তে থাকেন। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক তারকা হয়ে উঠলেন।
আইয়ুব বাচ্চু যখন গিটার বাজাতেন, সেই সুর ঝলক দিয়ে উঠত শ্রোতাদের মনে। কনসার্টে একসঙ্গে এবির সঙ্গে কণ্ঠ মেলাতেন ভক্তরা। ‘এবি’ ছাড়াও ভক্তরা তাকে আরও এক নামে ডাকতেন ‘বস’।
বাংলা গানের নতুন ধারার এই অনন্য শিল্পী অনেকগুলো চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন। যেমন: ১৯৯৯ সালে ‘লাল বাদশা’ ও ‘আম্মাজান’, ২০০০ সালে ‘গুন্ডা নাম্বার ওয়ান’, ২০০৪ সালে ‘ব্যাচেলর’ ও ‘রং নাম্বার’, ২০০৯ সালে ‘চাঁদের মতো বউ’, ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’, ২০১৩ সালে ‘টেলিভিশন’ এবং ২০১৪ সালে ‘এক কাপ চা’ প্রভৃতি। তার গাওয়া ‘আম্মাজান’ গানটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম শ্রোতাপ্রিয় গান।
নব্বই দশক থেকে আইয়ুব বাচ্চু জনপ্রিয়তা্র তুঙ্গে অবস্থান করে। কিন্তু এরপরও তেমন স্টারডর্ম কাজ করত না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থেকেছেন এই কিংবদন্তী। বলা বাহুল্য, তারকা হিসেবে নয়, একজন ‘ভালো মানুষ’ হয়ে, সবার হৃদয়ে থেকে বাঁচতে চেয়েছিলেন এই গিটারের জাদুকর।
দেখতে দেখতে ছয় বছর পার হলেও ভক্তদের মনে আজও বেঁচে আছেন আইয়ুব বাচ্চু। তার আত্মার শান্তি কামনায় শুক্রবার দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করা হয়েছে। মগবাজারের সেলেব্রেশন কমিউনিটি পয়েন্টে অনুষ্ঠিতব্য এই আয়োজনটি হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম মিউজিসিয়ান’স ক্লাব, আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন এবং বন্ধুমহল।
আরও পড়ুন: