মোস্তফা সরয়ার ফারুকী | ছবি: সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শুরু থেকেই সক্রিয়।তিনি এই আন্দোলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মতামত প্রকাশ করছেন।গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেও তার এই উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার দুপুরে নিজের ফেসবুকে একটি বিস্তারিত পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘অনেকে আশা করেছিলেন আওয়ামী লীগ নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে, অনুশোচনা করবে এবং বিচার প্রক্রিয়ার পর নতুন রাজনীতি নিয়ে আসবে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ মনে করছে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করবে। তারা কল্পনায় ভাবছে, আমরা তাদের মিস করছি। সত্যিই আশ্চর্যজনক! আসুন আমরা ভাবতে চেষ্টা করি, তাদের আমাদের কেন দরকার?’
আওয়ামী লীগকে কেন প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উল্লেখ করেন, ‘এই জুলাইয়ে হাজারের বেশি তরুণ-কিশোর-ছাত্র-ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। কি আরেকটি হত্যাকাণ্ডের জন্য তাদের প্রয়োজন? সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের পৃষ্ঠপোষকতায় কোটি কোটি টাকা ব্যাংক লুট করে পাচার করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বে সবচেয়ে বড় ব্যাংক ডাকাতি বলে পরিচিত। আরো দশটি ব্যাংক লুটের জন্য কি তাদের প্রয়োজন? মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতির জন্য কি প্রয়োজন? কুইক রেন্টালের নামে কুইক ডাকাতির জন্য কি প্রয়োজন? অসম ও অবিশ্বাস্য চুক্তির জন্য কি তাদের প্রয়োজন?’
এই দফায় দলের সব নেতাকে সমান সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সামনের দিনে নিশ্চিত করা হবে, যেন জাভেদের মতো সবাই বিদেশে অন্তত ৩৬৫টি বাড়ি কিনতে পারে-কোনো বৈষম্য থাকবে না। এর জন্য কি প্রয়োজন?
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শত শত মানুষ গুম হয়েছে। আরো কয়েক হাজারকে গুম করার জন্য কি প্রয়োজন? আবার কি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর জন্য কি তাদের দরকার?
এর মানে কি এখন যা হচ্ছে, সবকিছু ঠিক আছে? “অ্যাবসোলিউটলি নট,” বলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বর্তমানে সবাই নিজেকে সরকার মনে করছে। এ বিষয়ে তিনি জানান, “নির্বাচিত সরকার আসার আগ পর্যন্ত সবাই নিজেকে সরকার ভেবে অনেক উল্টাপাল্টা কাজ করছে। কেউ কেউ অনলাইন ও অফলাইনে বিভেদ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে চাইছে। এই সরকারের ১০০০ বিষয়ে আমার নিজস্ব সমালোচনা রয়েছে, কিন্তু আমি বাস্তবতাটাও বুঝি।” “যখন ১৬ বছরে সব সিস্টেম দলীয় লুটপাট এবং ক্ষমতা ধরে রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়, তখন যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়, তাদের প্রতি সত্যিই সম্মান জানানো উচিত। আমি প্রফেসর ইউনুসকে সালাম জানাই, বর্জ্য পরিষ্কারের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য। ওয়াকার সাহেব এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও সালাম, যারা জনতার স্বার্থে কাজ করছেন। তারা তো হাসিনার সুবিধা নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারতেন।”
আরও পড়ুন:
