
অনুমান ছিল এমন এক ধামাকার। বুধবার সন্ধায় সেই ধামাকা দেখা গেল ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর ট্রেলারে। বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে রগরগে এক থ্রিলার উপহার দিতে চলেছেন পরিচালক নীরজ পাণ্ডে, ট্রেলার দেখেই তা বেশ বোঝা গেল। বলতে গেলে ট্রেলারেই বাজিমাত করলেন নীরজ পাণ্ডে।
ট্রেলারটিতে দেখা যায়, গ্যাংস্টার পুলিশ ও রাজনীতিবিদদের ত্রিমুখী লড়াইয়ের উত্তপ্ত কলকাতা। পুলিশ শাসক দলকে সুরক্ষা দেয়, আর শাসকদল সুরাক্ষা দেয় অপরাধীদের। এমনই এক কণ্ঠে শুরু হয় ভিডিওটি। যেখানে ড্রোন শটে দেখা যায় কলকাতা শহরকে।
নিচে ফুটে ওঠে লেখা কলকাতা ২০০২। তারপরই দেখা যায় কোনও এক রাজনৈতিক দলের জনসভায় ভিড় করেছেন বিপুল জনতা। সেখানে নেতার বেশে দেখা মেলে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির। যাকে কিনা মঞ্চে উঠে জনতার উদ্দেশ্য হাত নাড়তে দেখা যায়।
আর তারপরই দেখা মেলে একের পর এক খুনের দৃশ্য। এমনই কিছু দৃশ্যায়নই উঠে এসেছে ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর ট্রেলারে।
ট্রেলারে রাজনীতিবিদের চরিত্রে দেখা মিলেছে প্রসেনজিতের, অপরাধীর চরিত্রে দেখা মেলে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের। পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা মেলে পরমব্রত ও জিৎ-এর। জিৎ এর সহযোগীর ভূমিকায় দেখা মেলে মিঠুন পুত্র মিমোর।
আবার আরও এক রাজনীতিবিদের ভূমিকায় দেখা মেলে শুভাশিষ মুখার্জির। রয়েছেন চিত্রাঙ্গনা সিংয়ের মতো অভিনেত্রীও।
গোটা ট্রেলার জুড়ে উঠে এসেছে কলকাতা শহরে ঘটে যাওয়া অপরাধ, অপরাধী, রাজনৈতিক কার্যকলাপ আর পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার ছবি। ২০ মার্চ নেটফ্লিক্সের পর্দায় আসছে ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’।
আরও পড়ুন: