বুধবার

২ এপ্রিল, ২০২৫
১৮ চৈত্র, ১৪৩১
৪ শাওয়াল, ১৪৪৬

শিল্পকলার বিরুদ্ধে সমন্বয়হীনতা ও দুর্নীতির অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ, ২০২৫ ২১:২৪

শেয়ার

শিল্পকলার বিরুদ্ধে সমন্বয়হীনতা ও দুর্নীতির অভিযোগ
শিল্পকলার বিরুদ্ধে সমন্বয়হীনতা ও দুর্নীতির অভিযোগ। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ‍ নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালায় সমন্বয়হীনতা, বৈষম্য ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও শিক্ষক রাজীবুল হোসেন। শনিবার  বিকেলে রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। এতে শিল্পীদের প্রতি অবহেলা, বাজেট স্বেচ্ছাচারিতা, প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠে এসেছে।

লিখিত বক্তব্যে রাজীবুল হোসেন বলেন, ‘কর্মশালার জন্য বরাদ্দ অর্থের স্বচ্ছতা নিশ্চিত না করায় শিক্ষার্থীরা মৌলিক প্রয়োজনীয়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং তাদের নির্মিত চলচ্চিত্রের কাজও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কর্মশালার জন্য বরাদ্দ অর্থের যথাযথ ব্যবহার না করে কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থে অর্থ লোপাট করেছেন। নাট্য কর্মশালার অংশগ্রহণকারীরা পূর্ণ সুবিধা পেলেও চলচ্চিত্র কর্মশালার শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুত খাবার ও ভাতা দেওয়া হয়নি, বা অনেক দেরিতে দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষকদের সম্মানী প্রদানেও অস্পষ্টতা ছিল। একই প্রতিষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য সম্মানীর পরিমাণ স্বেচ্ছাচারীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।’

রাজীবুল হোসেন আরও বলেন, ‘১২ দিনের কর্মশালার জন্য আমার যে সম্মানী প্রাপ্য ছিল, তার অর্ধেকেরও কম দিতে চাওয়া হয়, অথচ একই প্রতিষ্ঠানের চট্টগ্রাম কর্মশালায় একদিনের জন্য আমাকে দ্বিগুণ সম্মানী দেওয়া হয়েছে! প্রশিক্ষকের সম্মানী কি সিনিয়র কর্মকর্তাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল? সংস্কৃতির অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে শিল্পী, গবেষক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতারা। কিন্তু শিল্পকলা একাডেমির প্রশাসন তাদের প্রতি চরম অবহেলা ও অসম্মান প্রদর্শন করছে। শিল্পী ও শিল্পতাত্ত্বিকদের প্রতি আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনের অসদাচরণ নতুন নয়, বরং এটি এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনের পর কর্মশালার শিক্ষার্থীদের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বিবেকের দাম’-এর বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। চলচ্চিত্রটি শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সমাজের অনিয়মকে তুলে ধরা হয়েছে।

banner close
banner close