
ঈদে মুক্তিপ্রতিক্ষীত ‘বরবাদ’ সিনেমায় আপত্তি জানিয়েছিল চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড। ছাড়পত্র পেতে ছবির বেশ্ছুকি দৃশ্য কর্তনের শর্ত দেওয়া হয়। এতে ফুঁসে ওঠেন শাকিবিয়ানরা।
ঠিক তখন বরবাদ সিনেমা নিয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ডের সিদ্ধান্ত ২৪ মার্চ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন বোর্ডের অন্যতম সদস্য নির্মাতা কাজী হায়াৎ। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘আজ ছবিটি দেখা হলো। কিছু কাটিং আছে। তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। আজকের মধ্যে সংশোধন করে জমা দিলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সেন্সরে আবার কাটিংটা দেখে কালকের মধ্যেই সার্টিফিকেট প্রদান করবে।’
এরপর থেকেই কাজী হায়াতের পিন্ডি চটকাতে থাকেন শাকিব ভক্তরা। গেল মঙ্গলবার বরেণ্য এ নির্মাতার গাড়ি আটকে দেব শগাকিবিয়ানরা। এক পর্যায় তার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় শাকিব ভক্তদের। এতে নাখোশ চলচ্চিত্রের অনেকেই। এবার মুখ খুললেন খল অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুকে ডিপজল লিখেছেন, ‘আমার সিনেমা জগতে আগমনের পেছনে যিনি পথপ্রদর্শক, যিনি এক অর্থে আমার সিনেমার জন্মদাতা, তিনি কিংবদন্তি পরিচালক কাজী হায়াৎ। তিনি শুধু একজন সফল নির্মাতাই নন, আমার জন্য পিতৃতুল্য একজন মানুষ, যার হাত ধরে আমি নতুনভাবে পথচলা শুরু করি। তার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা চিরকাল থাকবে।’
এরপর তিনি লেখেন, ‘কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এমন একজন গুণী ও বর্ষীয়ান ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং নিন্দনীয়। আমার কাছে এটি ইচ্ছাকৃত বলেই মনে হয়েছে— একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে ছোট করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা। অথচ ইতিহাস সাক্ষী, সূর্যের আলো ঢেকে রাখা যায় না, কিংবদন্তির সম্মান কেড়ে নেওয়া যায় না।’
সবশেষে শিল্পী সমিতির এ নেতা লেখেন, ‘আমরা সম্মানের সঙ্গে পথ চলতে শিখেছি, সম্মান দিতে জানি। তাই এমন অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমি, মনোয়ার হোসেন ডিপজল, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
ডিপজল ছাড়াও কাজী হায়াতের পাশে দাঁড়িয়েছেন পরিচালক অনন্য মামুন ও চিত্রনায়ক ওমর সানী। নিজেদের ফেসবুকে বরেণ্য এ নির্মাতার পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: