সকালে টয়লেটে ঢুকলে অনেকেরই সময় বেশি লাগে। দেরি হয় কাজে যেতে। এর অন্যতম একটি কারণ- কোষ্ঠকাঠিন্য। যারা এই সমস্যার শিকার, তাদের এমনিতেই মেপে খাবার খেতে হয়। অনেক খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হয়। তবুও সহজে সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে না।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগলে অনেক সময়ে অন্য কোনও রোগেরও ঝুঁকি থাকে। তাই এই সমস্যা থেকে যত দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়, ততই ভালো। ওষুধ খেয়ে কিংবা সঠিক নিয়ম মেনেও অনেক সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকা যায় না।
খাওয়ার অভ্যাসের কারণেও কিন্তু এই রোগ পিছু ছাড়ে না। খাওয়ার সময়ে কোন কোন অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়?
খাওয়ার সময় ঠিক রাখা
কী খাওয়া হচ্ছে, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কখন খাওয়া হচ্ছে। খাওয়ার সময়টা সব ক্ষেত্রেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অফিসে থাকলে খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় থাকে না। দেরি হয়ে যায়। অনেক ক্ষণ ধরে পেট ফাঁকা থাকার ফলে গ্যাস জমতে শুরু করে পেটে। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর খাবার পেটে পৌঁছাতেই শুরু হয় বদহজম। তাই সময়ের খাবার সময়ে খেয়ে ফেলাই ভাল।
খাবার গিলে ফেলা
খেতে বসার সময়ে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। অনেক সময়ে বাড়ি থেকে বেরোনোর তাড়ায় কিংবা অফিসে কাজের চাপে চটজলদি খেয়ে ফেলার অভ্যাস হয়ে যায়। খাবার ঠিকমতো না খেলে হজম ভালো হয় না আর তাতেই বাড়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
সময় বাঁচাতে এখন অনেকেই প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে ঝুঁকছেন। শহুরের জীবনে এই প্রবণতা বেশি। সকালে উঠে পাউরুটির সঙ্গে সসেজ, বিকেলে খিদে পেলে নাগেটস আর রাতে ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দিতে হবে। যত বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার পেটে যাবে, ততই বাড়বে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। তাই পেট ভালো রাখতে ঘরে তৈরি খাবার খাওয়াই ভালো।
অতিরিক্ত মদ্যপান
অতিরিক্ত মদ্যপান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই পেট ভালো রাখতে মদ্যপান নিয়ন্ত্রণে রাখাই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় মদ থেকে দূরে থাকলে।
পানি কম পান
কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম বড় কারণ কিন্তু কম পানি পান। শীতকালে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে রেহাই পেতে বেশি করে পানি পান করতে হবে।
আরও পড়ুন: