বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) পরিদর্শন করেছেন । মঙ্গলবার সকালে তিনি সিআরপির বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করে ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের খোঁজ খবর নেন।
এ সময় রোগীদের কাছ থেকে পাওয়া নানা অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন সিআরপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। পরে সারজিস রোগীদের বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সাংবাদিকদের সামনে হতাশা প্রকাশ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আহতদের চিকিৎসায় চরম অবহেলা, অপেশাদারিত্ব এবং যথাযথ চিকিৎসা না করার অভিযোগ করেন তিনি। চিকিৎসার পরিবেশ, কর্মীদের অপেশাদার আচরণ, খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়টির যেভাবে কাজ করার কথা, সেভাবে কাজ করছে না।
সারজিস আলম বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে সক্রিয় উপদেষ্টা হওয়ার কথা ছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার। যে অফিস মন্ত্রণালয়ে করবে না, হাসপাতালে করবে। যে প্রত্যেকটা হাসপাতালে দৌড়ে বেড়াবে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও এ সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন তাদের আমরা এই কথাটা বার বার বলেছি। আমরা যেমন অ্যাক্টিভ দেখতে চাই তেমনটা দেখতে পাই না।
হাসপাতালে বার বার তাদের ছুটে আসতে হবে এ বিষয়ে আক্ষেপ জানিয়ে তিনি বলেন, কেন আমরা এখনো এখানে আসবো? আজ দুই থেকে আড়াই মাস হয়ে যাচ্ছে অথচ তারা বলছে কোনো সরকার থেকে কোনো সাহায্য পায়নি। একটা মন্ত্রণালয়ের জন্য ১০০ কোটি টাকা কি খুব বড় ব্যাপার? এই এক একটা মানুষকে যদি ১ লাখ টাকা করে দেয় তাহলে কি খুব বেশি টাকা লাগবে? তাহলে কেন আমার আহত ভাইরা এই কথাটা বললো!
সারজিস আরও বলেন, আমরা আহ্বান জানাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব প্রতিটা জায়গায় যেতে হবে। যারা আহত আছে তাদেরকে যাবতীয় সাহায্য প্রদান করতে হবে। এছাড়া যত দ্রুত সম্ভব আহতদের সাহায্যের জন্য গঠিত ফান্ডকে প্রত্যেকটা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
আহতদের মধ্যে ৫৭ জন বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপিতে। এদের মধ্যে স্পাইনাল কর্ডে গুলিবিদ্ধ ৬ জন রোগী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: