বুধবার

২ এপ্রিল, ২০২৫
১৮ চৈত্র, ১৪৩১
৪ শাওয়াল, ১৪৪৬

শনিবার ২ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ, ২০২৫ ১৪:৫৩

শেয়ার

শনিবার ২ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
২ কোটি শিশু পাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।

শনিবার (১৫ মার্চ) সারা দেশে জাতীয় ভিটামিনপ্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এবার সারাদেশে -৫৯ মাস বয়সী প্রায় কোটি ২৬ লাখ শিশুকে লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

বুধবার (১২ মার্চ) স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। শুধু দেশেই নয়, বিশ্ব নেতৃত্বের পুষ্টি ফোরাম স্কেলিং আপ নিউট্রিশন (এসইউএন)এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে আসছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার .১০ শতাংশ ছিল। ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। পরবর্তীতে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।

এতে আরও বলা হয়, ভিটামিন শুধুমাত্র অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে না। এর পাশাপাশি বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর হারও প্রায় এক চতুর্থাংশ কমিয়ে আনে যা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা- (শিশু মৃত্যুর হার কমানো) অর্জনে খুবই সহায়ক ছিল। সকল শিশু সঠিকভাবে মায়ের দুধ কিংবা সঠিক মাত্রায় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারে না। ফলে অনূর্ধ্ব বছর বয়সের শিশুদের বিরাট অংশ ভিটামিন ঘাটতিতে ভুগছে এবং ভিটামিন এর অভাবজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্বল্প খরচে স্বল্প সময়ে এই ঘাটতি পূরণে শিশুদের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো প্রয়োজন। ইতোমধ্যে জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে বার শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুদের ভিটামিন খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা ভাগের নিচে কমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইনে -৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। কিন্তু তাদের একটি অংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। অন্ধত্ব একটি পরিবারের জন্য অভিশাপ তথা একটি দেশের জন্য বোঝা। বছরে বার ভিটামিন ক্যাপসুল গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে বহুলাংশে মুক্ত করা যায় এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিও কমানো সম্ভব। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের সকল শিশুর অপুষ্টি দূরীকরণ সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে এইবার ১৫ মার্চ, ২০২৫ রোজ শনিবার সারাদেশে -৫৯ মাস বয়সী প্রায় কোটি ২৬ লক্ষ শিশুকে লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। স্বল্প সময়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ক্যাম্পেইনকে সফল করতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

সবশেষে, মাস থেকে বছর বয়সী শিশুদের অভিভাবকরা যেন অবশ্যই নিকটস্থ কেন্দ্রে নিয়ে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ান সে বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

banner close
banner close