
কিডনিতেও বাসা বাঁধছে ছত্রাক। আর একবার কিডনিতে ছত্রাকের সংক্রমণ হলে এবং যথাসময়ে তা চিহ্নিত করা না গেলে শরীরের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, কিডনিতে ছত্রাকের সংক্রমণের চিকিৎসা সঠিক সময়ে না হলে তা থেকে রক্ত দূষিত হওয়া, কিডনি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এমনকি, কিডনির কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতেও পারে।
ডায়াবিটিসের রোগী এবং যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, মূলত তাদেরই ওই রোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া ক্যানসারের রোগী, এইডসের রোগীদেরও কিডনিতে ছত্রাকের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি বলে জানাচ্ছেন ইউরোলজিস্ট চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, ‘সুস্থ মানুষের শরীরে এমন হওয়ার সম্ভাবনা কম।’
কিডনির ওই ছত্রাক সেই সমস্ত জায়গাতেই নিশ্চিন্তে বাড়ে, যে শরীরে রোগব্যাধিকে ঠেকানোর শক্তি কম।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবিটিসের রোগীদের রক্তে মিশে থাকা উচ্চমাত্রার শর্করা এবং তাদের ঝিমিয়ে থাকা রোগপ্রতিরোধ শক্তিই ওই ছত্রাককে বাড়তে সাহায্য করে।
কিডনিতে ছত্রাকের সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে উপসর্গ। তবে যেগুলো সাধারণত দেখা যায়, তা হল—
১. প্রস্রাব করার সময় জ্বালা ভাব; ২. বারে বারে প্রস্রাবের বেগ আসা; ৩. কাঁখে ব্যথা; ৪. বমি হওয়া; ৫. জ্বর
কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ বেশি ছড়ালে রক্তচাপ অত্যন্ত কমে যেতে পারে, যা থেকে রোগীর প্রাণ সংশয়ও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সতর্ক থাকলে এবং আগে বুঝে চিকিৎসা করালে ছত্রাকের সংক্রমণের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব অ্যান্টি ফাঙ্গাল অ্যান্টি বায়োটিকসের সাহায্যে। যথাসময়ে চিকিৎসা করালে এই রোগ শরীরে কোনো দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবও ফেলে না। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
বিশেষ করে ডায়াবিটিসের রোগীদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: