বাংলা এডিশনের অফিস পরিদর্শনে এসেছিলেন বাংলা এডিশনের সৌদি আরবের ব্যুরো অফিসের প্রধান মোঃ রফিকুল ইসলাম।
রোববার দুপুরে তিনি অফিসের সকলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারের জন্য আসেন।
রফিকুল ইসলাম বাংলা এডিশনের সূচনালগ্ন থেকে জড়িত। এরপূর্বে তিনি দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের স্বনামধন্য সাহসী সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইনের সহযোগী হিসেবে সৌদি আরব থেকে কাজ করেছেন।
এই পেশায় জড়িত হওয়া এবং আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখির জন্য দেশে তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি ও সামাজিকভাবে হেনস্থা করে পলাতক সরকারের দোসররা।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি সৌদিতে একটি কোম্পানিতে বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
রফিকুল ইসলাম ২০১৮ সালে প্রবাসে যাওয়ার পূর্বে দেশের সেবা করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে সকল যোগ্যতা থাকার পরেও তিনি চাকরি পাননি।
এরপর সৌদি গিয়ে তিনি সাংবাদিকতায় জড়িত হন।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর তিনি এখন স্থায়িভাবে দেশে আশার কথা ভাবছেন।
দেশের ভবিষ্যৎ কি রকম হওয়া উচিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের প্রথম উদ্দেশ্য হওয়া দরকার আর যেনো ফ্যাসিবাদের মতো শাসক ফিরে না আসে। নতুন ভাবে যারা রাজনীতিতে আসবেন তারা শাসকের ভূমিকায় না এসে সেবক হিসেবে আসেন।
তিনি বলেন, আমাদের সকলের চাওয়া এমন এক দেশের যে দেশে কোনো দুর্নীতি, অর্থলোভী নেতা বা কর্মকর্তা থাকবে না।
ব্যক্তি জীবনে কঠোর পরিশ্রমী রফিকুল স্বাবলম্বী পরিবারের সন্তান হলেও ২০১৩ সালে মাধ্যমিক পাশের পর নিজের আনুষঙ্গিক খরচ বহনের জন্য বেসরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।
বর্তমানে তিনি তার এলাকার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠনের সাথে জড়িত। এরমধ্যে তাদের বন্ধুদের মাধ্যমে গড়ে উঠা দাইড়পাড়া ইসলামী উন্নয়নমূলক যুব সংঘ অন্যতম। এই সংঘের মাধ্যমে নিজ এলাকার সকল সেবামূলক কাজের পাশাপাশি দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে থাকেন তারা।
আরও পড়ুন: