শিল্প কারাখানাগুলোকে সহিংসতা ও হামলা থেকে রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, 'আমাদের প্রথম দায়িত্ব হলো শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া।'
আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়ী নেতাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
সাক্ষাতে বাংলাদেশের শিল্প প্রবৃদ্ধিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ব্যবসায়ী নেতাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, 'আমরা শিল্পকে একটি নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।'
ড. ইউনূস বলেন, 'ছাত্র-জনতার বিপ্লব দেশে নতুন আশার যুগের সূচনা করেছে এবং অন্তর্বর্তী সরকার শিল্প, অর্থ ও উৎপাদন খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা সাম্প্রতিক সময়ে পোশাক ও ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, তারা সন্দেহ করছেন যে দেশের বাইরে বসবাসকারী গ্রুপসহ বহিরাগতদের প্ররোচনায় কারখানাগুলোতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ সময় তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলেও মনে করেন তারা।
বৈঠকে নোবেলজয়ী এই অধ্যাপক শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে আরও বেশি পরিমাণে অর্ডার পাওয়ার প্রয়াসে ব্যবসায়ী নেতাদের শ্রম সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আমরা সংস্কারের জন্য বড় একটি সুযোগ পেয়েছি। আমাদের শ্রম আইনকে আইএলও মানদণ্ডে আপগ্রেড করতে হবে।'
তিনি এও জানান যে তিনি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও আরও বেশি পরিমাণে অর্ডার করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ, মীর নাসির হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, বিজিএমইএর সভাপতি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসের এজাজ বিজয়।
আরও পড়ুন: