অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আজ রাত ১২টার পর অর্থাৎ বুধবার প্রথম প্রহর থেকে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে।
অন্তবর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার শেষ দিন আজ মঙ্গলবার। এরপর মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২টার পর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধী গ্রেপ্তারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হবে।'
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী সব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকার সব দুষ্কৃতকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে এবং দল-মত নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এতে আরও বলা হয়, উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, সরকার যখন বিচারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে জাতিসংঘকে সত্য অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, ঠিক সে সময় কিছু অতিউৎসাহী এবং স্বার্থান্বেষী মহল আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদের নামে প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের উপর চাপ প্রয়োগ, আদালতে আসামিকে আক্রমণ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া যাচ্ছে, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী এসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকার সব দুষ্কৃতকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে এবং দল-মত নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দপ্তরে জানাতে হবে। কোনোভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও বা কোনো রকম সহিংস আচরণ করা যাবে না। সরকারের পক্ষ থেকে তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলা হবে এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: