শনিবার

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
১৩ আশ্বিন, ১৪৩১
২৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

গাজীপুরে আবার বিক্ষোভ, ২৫ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

প্রতিনিধি,গাজীপুর

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৮:৪৩

শেয়ার

গাজীপুরে আবার বিক্ষোভ, ২৫ কারখানায় ছুটি ঘোষণা
গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গী, সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। এ সময় কারখানায় ভাঙচুর, মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন দাবি জানায় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে টঙ্গীতে এমট্রানেট গ্রুপ লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ১৩ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে 'পিনাকি গ্রুপ', 'ড্রেস ম্যান লিমিটেড' ও 'নোমান গ্রুপ'-এর কয়েক হাজার শ্রমিক অংশ নেন।

পরে বেলা আড়াইটার দিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের দাবি মেনে নিলেও এমট্রানেট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. সুজন মিয়া, মো. সফিউল্লাহসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে তিনটা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা।

শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় মেঘনা গ্রুপের হাই ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকালে ১৪ দফা দাবি নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। সে সময় পাশের হাউ আর ইউ টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকদের বের করে আনতে গিয়ে হাই ফ্যাশনের শ্রমিকরা হামলার শিকার হন, এতে উত্তেজিত শ্রমিকরা হাউ আর ইউ টেক্সটাইলে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।

টঙ্গীর এমট্রানেট গ্রুপের শ্রমিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবিগুলো কয়েক বছর যাবৎ মৌখিক ও লিখিতভাবে উপস্থাপন করে আসছি। আজ মঙ্গলবার সকালে আমরা পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা একত্রে মিলে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করছি।

অন্যদিকে গাজীপুর সদর উপজেলার নতুন বাজার এলাকার এস এম নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় কারখানায় প্রবেশ করে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে অ্যাসরোটেক্স লিমিটেডের শ্রমিকরা দুপুর ১২টার দিকে কারখানার প্রধান গেটে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলে এস এম নিটওয়্যার ও অ্যাসরোটেক্স লিমিটেডের শ্রমিকরা এ্যাপারেলস্-২১ লি. ও গ্রিন ফাইবার কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার গেটে গেলে কারখানা কর্তৃপক্ষ ওই দুটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেন। পরে শ্রমিকরা যার যার অবস্থান থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, মঙ্গলবার বিভিন্ন দাবিতে আবারও শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা নানা দাবি নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে ২৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার পর দুপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনী, বিজিবি কাজ করছে।