কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরোয়ার নির্জন (বিএ-১১৪৫৩) নিহত হয়েছেন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া সেনা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল ডুলাহাজারার মাইজপাড়া গ্রামে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায়। রাত সাড়ে ৩টায় সশস্ত্র ডাকাত দেখে দ্রুত তাদের আটক করতে গেলে লেফটেন্যান্ট তানজিমের সঙ্গে ডাকাতের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ডাকাতরা গুলি ছুড়লে গুরুতর আহত হন সেনা কর্মকর্তা তানজিম। পরে তাকে কক্সবাজার নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
ওসি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর এ অভিযানে সন্ত্রাসী দলের সদস্য জিয়াবুল, বেলাল, হোসাইনসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়। নিহত সেনা কর্মকর্তার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, মাইজপাড়া গ্রামসহ পুরো অঞ্চলটিতে প্রায়ই ডাকাতি হয়। ওই এলাকার রেজাউলের বাড়িতে অনেকগুলো গরু থাকায় এবং পরিবারের একজনের নতুন বিবাহের জেরে ডাকাতির আশঙ্কায় সে আগেই সেনাবাহিনীকে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে। মূলত এরই প্রেক্ষিতে সেনাদের নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রামু ক্যান্টনমেন্টের এক সেনা অফিসারের বরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আবদুল্লাহর ফেসবুকে পোস্ট থেকে জানা যায়, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের খোঁজে অভিযানে গিয়েছিলো সেনা বাহিনী। এ সময় সন্ত্রাসীদের সাথে গোলাগুলিতে তানজিমের শরীরে গুলি লাগে। একই সঙ্গে চোখে গুলি লেগেছে।
এরপর তাকে প্রথমে ফিল্ড হাসপাতালে পরে অবস্থা বেগতিক দেখে সিএমএইচে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সেখানে নেয়ার আগেই মারা যায় তানজিম।
পাবনা ক্যাডেট কলেজের ৩৬তম ব্যাচের ক্যাডেট ছিল তানজিম।
সেনা অফিসার হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা বহুদিন ধরে ডাকাতিতে জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম- হেলাল, শাহ আলম, গালকাটা নুরুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, পারভেজ, পুতু ডাকাত, আবছার।
ডাকাত হেলাল ছাড়া সবাই মালুমঘাটের রহমান হত্যা মামলার আসামি; মাত্র মাসখানেক আগে ডাকাত শওকত আলী ও উলুবনিয়ার সন্ত্রাসী সজিবের সহযোগিতায় তারা জামিনে বের হয়ে আসে।
আরও পড়ুন: