শুক্রবার

১১ এপ্রিল, ২০২৫
২৭ চৈত্র, ১৪৩১
১৩ শাওয়াল, ১৪৪৬

প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন ভারত; এগিয়ে যাচ্ছে চীন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৩:১৫

আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৩:৩৯

শেয়ার

প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন ভারত; এগিয়ে যাচ্ছে চীন
ছবি: মাঝখানে মোদি,ডানে ইউনূস, বামে মুইজ্জু

ভারত প্রথম ধাক্কাটি খায়, মালদ্বীপের কাছে। মালদ্বীপে ভারতীয় প্রভাব ছিলো বিশাল। অতীতে এখানে কেউ প্রেসিডেন্ট হলে কূটনৈতিক সফরে প্রথম যেতেন নয়াদিল্লিতে। তবে এসব এখন ইতিহাস।

দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু এসব তোয়াক্কা করেন নি। পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছেন ভারতের বিরুদ্ধে। মালদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন মুইজ্জু। মালদ্বীপ ভারতকে হটিয়ে সম্পর্ক গড়েছে চীনের সঙ্গে। এই জন্য বর্তমান নরেন্দ্র মোদির অতিরিক্ত ভারত প্রীতি নীতিকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।

একইভাবে বাংলাদেশেও ভারতের আর কোন কর্তৃত্ব নেই। অথচ বিগত ১৫ বছর বাংলাদেশকে পরোক্ষভাবে শাষন করেছে দিল্লি। ক্ষমতার পালা বদলে বাংলাদেশের ওপর ভারতের প্রভাব কমেছে। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মোদি প্রশাসনের। ড. মুহম্মাদ ইউনূস সরকার চায় ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক। তবে তা হবে সমতার ভিত্তিতে।

ভারত বিরোধী দেশের তালিকায় সবশেষ যুক্ত হলো শ্রীলংকা। মতাদর্শের দিক থেকে ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বাঁ বিজেপি উগ্র ডানপন্থি হিসেবে চিহ্নিত।

অন্যদিকে, শ্রীলংকার নতুন প্রেসেডিন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে মাক্সবাদী বামপন্থি আদর্শের নেতা। সাধারণত বামপন্থি সরকারগুলোকে মতাদর্শগতভাবে কমিউনিস্ট চীনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে মনে করা হয়। এ ছাড়া দিসানায়েকে অতীতে ভারত-বিরোধী ছিলেন। তার দল শ্রীলঙ্কায় ভারতের প্রভাব কমানোর বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখতো।

দিশানায়েকে ভারতীয় প্রজেক্টের সমালোচনা করলেও তিনি কখনও চীনের সমালোচনা করেননি। নির্বাচনের আগে দিশানায়েকে ভারতীয় ব্যবসায়ী আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত বায়ু শক্তি প্রকল্পের বিরোধিতা করেন। তাই বর্তমান শ্রীলংকান প্রেসিডেন্টকে ভারত বিরোধী বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এ ছাড়া নানা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গেও ভারতের বিরোধীতা চলছে। সবশেষ মণিপুরের সংঘাত নিয়ে মিয়ানমার সীমান্তে কাটা তারের বেড়া দেয়ার ঘোষণা দেয় দিল্লি। 

এর আগ থেকেই পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে বিরোধ চলছে ভারতের। তাই প্রতিবেশী কোন দেশের সঙ্গে সুম্পর্ক নেই দিল্লির। মূলত মোদি সরকারের একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপের কারণে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে একঘরে হয়ে পড়লো ভারত।

banner close
banner close