বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে রংপুরে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের শরীরে মিলেছে শটগানের গুলির চিহ্ন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর আড়াই মাস পর পাওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন আবু সাঈদ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের তাক করা অস্ত্রের বিপরীতে বুক পেতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। ওই সময় পুলিশ সদস্যরা হঠাৎ তার দিকে রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে।
তখন আবু সাঈদের হাতে একটি লাঠি ছিল, যা দিয়ে তিনি গুলি ঠেকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। এ ঘটনার পর বেশ কয়েক পা পিছিয়ে তিনি সড়কের বিভাজক পার হন এবং হঠাৎ মাটিতে বসে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
আবু সাঈদের বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকার ওই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে দেশব্যাপী তুমুল আলোড়ন শুরু হয় এবং আন্দোলন আরো গতি পায়। পরে যা শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে পরিণত হয়। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশে ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: