টানা দুইদিন ধরে বিরতিহীনভাবে ঢাকায় ঝরছে আশ্বিনের বৃষ্টি। কখনো মুষলধারে কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর কর্মজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষেরা।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টিস্নাত রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে দেখা গেছে তীব্র যানজট। এতে সড়ক ও অলিগলিতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তাপপ্রবাহ কমলেও যানজট, জলাবদ্ধতা ও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস মিলে ঢাকার পথে পথে ভোগান্তি বাড়িয়েছে।
ঢাকার রাজপথে কর্মজীবী মানুষের ঢল ও বৃষ্টির সুযোগে রিকশা-সিএনজিগুলোতে বাড়তি ভাড়া হাঁকাতে দেখা গেছে। পাশাপাশি প্রচণ্ড ভীড় ছিল নগরীর গণপরিবহনগুলো।
বাংলা এডিশনের ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ বাদল হোসাইন ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে নিজস্ব প্রাইভেট কারে গাবতলী থেকে বনানী এসে পৌঁছেছেন। যেখানে অন্যদিনে তার অফিসে পৌছুতে লাগে মাত্র ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা।
অন্যদিকে, বাংলা এডিশনে কর্মরত সহ-সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রতীক ঢাকার কল্যানপুর থেকে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে অফিসে এসেছেন। অথচ তার ভাষ্যমতে, অন্য যেকোনো দিন অফিসে আসতে তার লাগে মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিট।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষে মিশেছে। এর মধ্যেই আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বৃষ্টির আভাস আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী কিংবা অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: