শনিবার

২৩ নভেম্বর, ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২১ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

বিচারকদের নিয়ে ছাত্র-জনতার ক্ষোভ নিরসনের সুযোগ তৈরি হয়েছে: আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:১১

আপডেট: ২০ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:১৮

শেয়ার

বিচারকদের নিয়ে ছাত্র-জনতার ক্ষোভ নিরসনের সুযোগ তৈরি হয়েছে: আসিফ নজরুল
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি।

বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল করার বিধান ফিরে আসায় বিচারকদের নিয়ে ‘ছাত্র-জনতার জমে থাকা ক্ষোভ’ নিরসনের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে সরকার পতন পরবর্তী পরিস্থিতিতে এ ঘটনা ‘বিশেষ তাৎপর্য’ বহন করছে।

অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যালোচনার আবেদন নিষ্পত্তির মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয়েছে বা পুনরায় কার্যকর হয়েছে। এটি নিয়ে কিছুটা ‘কনফিউশন’ ছিল। আজকে আদালতের রায়ের মাধ্যমে তা দূর হয়েছে। অর্থাৎ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এখন সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করা যাবে।

তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন। উচ্চ আদালত তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবেন। তবে আমরা মনে করি, এখন অন্তত ছাত্র-জনতা তাদের অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করার জন্য একটা উপযুক্ত ফোরাম পেল। আমরা এটাকে একটা ইতিবাচক অগ্রগতি দেখতে চাই।’

আইন উপদেষ্টা জানান, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল যখন বাতিল ছিল, তখন উচ্চ আদালতের বিচারকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ফোরাম ছিল না। আবার জবাবদিহি নিশ্চিত করার ইচ্ছাও তৎকালীন উচ্চ আদালতের প্রশাসনের ছিল না। কারণ, তখন তাদের ফরমায়েশি রায় হয়েছিল। আপনারা জানেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কী রকম রায় হয়েছে? তারেক রহমানকে বাংলাদেশে কথাই বলতে দেয়া হয়নি! বাক্‌স্বাধীনতা রুদ্ধ করার মতো এমন রায়ও হয়েছে। এ ছাড়া বহু মানুষ তাদের মানবাধিকার রক্ষা করার সুযোগ পাননি। বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।’

আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে সংবিধানেই বলা আছে। প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম দুজন বিচারক মিলে এই কাউন্সিল গঠিত হয়। কেউ যদি আজই সেখানে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন, তাহলে সেটির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

অধ্যাপক আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘বর্তমানে যারা কর্তৃপক্ষ রয়েছেন, আদালতের জবাবদিহি নিশ্চিত করার সদিচ্ছা তাদের আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। এবার সেটা বাস্তবায়ন করার ফোরামও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।’