শুক্রবার

২২ নভেম্বর, ২০২৪
৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২১ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জানালেন উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ২২:০২

শেয়ার

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জানালেন উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগকে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে নয়, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আওয়ামী লীগকে এখনো নিষিদ্ধের ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা হয়নি বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় ব্র্যাক সিডিএমএ তিন দিনব্যাপী মহিষ নিয়ে এশিয়ান বাফালো কংগ্রেস সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ সবসময় সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। ছাত্রলীগ যদি ভালো রাজনীতিতে থাকতো তাহলে নিষিদ্ধ হতো না। তারা নিজেরা আইন ভঙ্গ করেছে, আইন হাতে তুলে নিয়েছে। তাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে তাদের কাজ ভালো ছিল না, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সেই টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।

নিষিদ্ধ মৌসুমে ইলিশ ধরা বিষয়ে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা নদীতে ইলিশ মাছ ধরছে তারা জেলে না তারা দুষ্কৃতকারী। তারা ব্যবসা না করে মুনাফা চায়। এজন্য ইলিশ মাছ ধরছে। নদীতে মাছ না ধরতে সরকার কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে অবৈধ অনেক কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে অনেক চর অঞ্চল আছে। সেই চর অঞ্চলে মহিষ পালনে সরকার নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। মহিষের মাংসের অনেক চাহিদাও বেড়েছে। দেশে গরুর মাংস বিক্রিতে অনেক রকম কারসাজি আছে। দামটা ঠিক করে যেন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সেজন্য সরকার কাজ করছে। শুধু মাংস নয়, অন্যান্য প্রাণিজ ও আমিষসহ সব খাদ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে আনার দরকার।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. রিয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এশিয়ান বাফালো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. ওমর ফারুক, আয়োজক কমিটির সচিব ড. হিরন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তিন দিনব্যাপী এশিয়ান বাফালো অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে কাজ করা এশিয়ান বিজ্ঞানীদের একটি নেটওয়ার্ক ও সংগঠন। তিন দিনব্যাপী ১১তম এশিয়ান বাফালো কংগ্রেস সম্মেলনে বিশ্বের ৯টি দেশের ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী শিক্ষাবিদ, গবেষক, কৃষক এবং মহিষ নিয়ে কাজ করা নীতি নির্ধারকরা অংশগ্রহণ করেন।