ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'বিপ্লবী সরকার' ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানির জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল রবিবার এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আবেদনকারী হয়ে গত সপ্তাহে এ রিট করেন। সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে পৃথক রিট করেন তিনি।
মোফাজ্জল হোসেন গত সপ্তাহে রিট আবেদনে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। ইতোমধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৫৭ এবং ৫৮ অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীদের পদের মেয়াদ নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং এ দুটি অনুচ্ছেদ অনুসারে পরবর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত তারা নিজ নিজ পদে বহাল থাকবে।
আবেদনকারী বলেন, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন না হলে সংবিধানের ১২৩ (৩) (খ) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হবে। এ লঙ্ঘনের জন্য সংবিধানের ৭ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিদ্যমান আইনে রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যান্য অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে।
তাই সংবিধান লঙ্ঘন এড়াতে বর্তমান সরকারকে বিপ্লবী সরকার হিসেবে ঘোষণা করা দরকার বলে আবেদনকারী বলেন।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবিরে এর আগে গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর বর্তমান সরকার শুধু সংবিধানের বাইরে নয়, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের বাইরেও গঠিত। যদি এমন কোনো ঘোষণা না থাকে, তাহলে আদালত বর্তমান সরকারকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে পারে। তিনি আরও বলেন, একটি বিপ্লবী সরকারকে সামরিক অভ্যুত্থান বা আদালতের রায় দিয়ে উৎখাত করা যায় না। তবে সংবিধানের জরুরি বিধানের অধীনে একটি বিপ্লবী সরকার গঠন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: