বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়াকে অবশ্যই টেকসই হতে হবে। এ জন্য ৫ আগস্টের আগে-পরে হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ সর্বত্র যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা জরুরি। মব জাস্টিস (দলবদ্ধ সহিংসতা) এবং যেকোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডের দায়মুক্তি সমর্থন করে না জাতিসংঘ।
বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক এ মন্তব্য করেন। দুই দিনের সফরের শেষ দিনে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নানা পর্যায়ের আলোচনার বিষয় তুলে ধরেন।
মব জাস্টিস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'এ ধরনের ঘটনা যেই করে থাকুক, প্রতিটি সহিংসতার তদন্ত হওয়া দরকার। যেকোনো ধরনের মব জাস্টিস অগ্রহণযোগ্য। এজন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা দরকার।'
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যেসব পুলিশ মারা গেছেন, তাদের মারার দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ভলকার টুর্ক বলেন, 'কোনো হত্যারই দায়মুক্তি দেয়া উচিত নয়। প্রতিটি হত্যার তদন্ত ও বিচার করতে হবে।'
অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নিয়মতান্ত্রিকভাবে ছাড়া কোনো মামলা করা যায় না। এটি সুরাহা করা অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। আগে যা করা হতো সেটির পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।'
৫ আগস্টের পরে যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেটির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘দোষী যেই হোক, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হওয়া দরকার এবং এটি মানবাধিকারের দাবি। হত্যাকাণ্ডের দায়মুক্তি দেয়া যাবে না।'
আরও পড়ুন: