সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ ভ্যানে তোলা এবং আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তাকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাজির করার করার কথা রয়েছে।
বুধবার রাতে তাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনা হয়। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। বর্তমানে সায়েদকে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে।
গ্রেফতার আতঙ্কে এতদিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। আশুলিয়ার এ ঘটনায় নিজের দায় এড়াতে বিভিন্ন কৌশল ও ছলনার আশ্রয় নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার।
খোদ পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নিজেকে আড়াল করতে নানা কৌশল খাটিয়েও শেষ রক্ষা না হওয়ায় যে কোনো মুহূর্তে অবৈধ পথে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করেন সায়েদ। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইমিগ্রেশনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তার বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়। এরই জেরে গতকাল রাতে কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী, ২১ পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নং আসামিরা নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৪৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬নং আসামিসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্য ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলেন। থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাদের লাশ পুড়িয়ে দিয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: