সোমবার

২৫ নভেম্বর, ২০২৪
১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২৪ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

ইলিয়াছ হোসাইনের প্রতিবেদনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রথম আলো-ডেইলি স্টার পত্রিকা বয়কটের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১ নভেম্বর, ২০২৪ ২১:২৮

আপডেট: ১ নভেম্বর, ২০২৪ ২২:০৩

শেয়ার

ইলিয়াছ হোসাইনের প্রতিবেদনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রথম আলো-ডেইলি স্টার পত্রিকা বয়কটের ডাক
দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে বয়কটের ডাক। ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটি পুড়িয়ে বয়কটের ডাক দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ফটকে এবং শুক্রবার বেরোবি মূল ফটকে শিক্ষার্থীরা পত্রিকা দুটি পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেন। ওই সময় তাদের প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে এই দুটি পত্রিকা পোড়ানোর ভিডিও চিত্র সোস্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে বয়কটের ডাক দিয়ে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে পত্রিকা দুটির বিপক্ষে লিখেছেন।

ঢাবির ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব ইমরোজ বলেন, প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন স্পর্শকাতর ইস্যুতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচার করে আসছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পত্রিকা দুটি এদেশে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এবং প্রতিবেশি রাষ্ট্রের গোয়েন্দাসংস্থার হীন উদ্দেশ্যেকে অত্যন্ত নগ্নভাবে সমর্থন দান করে চলেছে।

এদিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো জুলাই-আগস্টের যে বিপ্লব হয়েছে তা মেনে নিতে পারেনি। তারা বিভিন্ন সময় নেগেটিভ খবর প্রচার করে আবারও ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। ওয়ান ইলেভেনের মূল কারিগর ডেইলি স্টার-প্রথম আলো। গণহত্যাকারী সংগঠন ছাত্রলীগকে তারা এখনো নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে মনে করে না।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পত্রিকা দুটি এদেশে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার হীন উদ্দেশ্যেকে অত্যন্ত নগ্নভাবে সমর্থন দান করে চলেছে বলে জানান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য এক শিক্ষার্থী।

সম্প্রতি প্রথম আলো নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইন তার ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পত্রিকা দুটি বর্জনের সিন্ধান্ত নেয় এবং জ্বালিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের প্রকাশ ঘটায়।