শুক্রবার

২২ নভেম্বর, ২০২৪
৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২১ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মাহমুদুর রহমানকে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিামেটাম দেয়ার সাহস কোথায় পেলো ইসকন!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ নভেম্বর, ২০২৪ ১৬:০০

আপডেট: ২ নভেম্বর, ২০২৪ ১৬:১৭

শেয়ার

মাহমুদুর রহমানকে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিামেটাম দেয়ার সাহস কোথায় পেলো ইসকন!
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে হিন্দুদের সংগঠন ইসকনকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট ও জঙ্গি সংগঠন উল্লেখ করে এর কার‌্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

এর প্রেক্ষিতে ইসকন ৭ দিনের মধ্যে তার বক্তব্য প্রমান করতে না পারলে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেয়াসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি।

শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘ইসকন সম্পর্কে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বক্তব্য ও সংবাদের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ইসকন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়।

মাহমুদুর রহমানকে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিামেটাম দেয়া ইসকন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা অপরাধে লিপ্ত রয়েছে।  ইসকোন গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদের অনুসারী একটি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৬ সালে স্বামী প্রভুপাদ আমেরিকার নিউ ইয়র্কে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে ধর্মীয় উগ্রবাদী এই প্রতিষ্ঠান, নানা বিতর্কের জন্ম দিলেও, ভিডিও বার্তায় সাধু সাজছেন ইসকনের মূখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী।

মুখোশধারী চিন্ময়কৃষ্ণ সাধু সাজলেও, বরাবরই বিতর্ক, সমালোচনা ও রহস্যের ধূম্রজালে নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে ইসকন। এসব কারণে, সংগঠনটির নামে বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ভূমি দখসহ অনেক ধরনের অভিযোগ তুলেছেন খোদ হিন্দু সংগঠনেরই নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও, চট্টগ্রামে ইসকন নেতা-কর্মীরা সদলবলে স্কুলে স্কুলে 'খাবার বিতরণের' আড়ালে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের 'হরে কৃষ্ণ হরে রাম' মন্ত্র পড়তে অপকৌশলে লিপ্ত হয়েছেন বারবার। সংগঠনটির নেতারা প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েও সোধরায়নি কখনোই। 

এসবের বাইরেও ইসকোনের বিরুদ্ধে আছে মন্দির দখলের অভিযোগ। ঢাকার স্বামীবাগের সনাতন হিন্দু মন্দির দখল নিয়ে, নামকরণ করা হয় ইসকন মন্দির। মন্দিরের জমির মালিক সনাতন হিন্দু ব্যক্তিকে মামলা দিয়ে, সেখানে ইসকন মন্দির গড়ে তোলে তারা। 

একইভাবে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকায় শ্রী শ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরে সনাতনদের উপর অত্যাচার করে আসছে ইসকনীরা। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রশিক রায় জিউ মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে ইসকনপন্থি ও সনাতন ধর্মালম্বীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় ইসকন ভক্তদের হামলায় ফুলবাবু নামে একজন সনাতন নিহত হয়।

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার প্রকোপ বাড়াতে মুসলিমবিরোধী বিভিন্ন কাজে ইন্ধন দেয় ইসকন। যেন মুসলমানরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ক্ষেপে যায়, আর দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

২০১৪ সালে স্বামীবাগে তারাবীর নামাজে বাধা দেয় ইসকন। সে সময় হিন্দু-মুসিলম সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পুরো দেশে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি বিরাজ করে।

২০১৬ সালে সিলেটে ইসকন মন্দির থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদের মুসল্লীদের ওপর গুলি বর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইসকনীদের হামলায় ডজনখানেক মুসল্লী গুরতর আহত হয়। এছাড়া, ওই বছরই ইসকনের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হয় সিলেটের এক মসজিদের ইমাম।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হলেও, হিন্দু-মুসলিমের দাঙ্গা বাঁধাতে শক্তভাবেই পায়তারা করে যাচ্ছে ইসকন। যার সুবিধা নেয়ার জন্য প্রস্তুত ভারতের উগ্র বিজেপি ও রামভক্তরা।