বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৯) সাইডলাইনে এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ঋণ একটি মানবাধিকার, কারণ এটি মানুষের জীবিকার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘ঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত না করলে জীবিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে এই বৈঠকে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ ও ডাচ যুবরাজ জেইমি বার্নার্ডো উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ডাচ যুবরাজ জেইমি বার্নার্ডো ঋণ, বিমা এবং গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে এ সমস্ত সেবার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।’ আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইভন পিন্টো জানান, ‘ঋণের প্রাপ্তির ফলে ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।’
এফএমও ব্যাংকের পরিচালক জোরিম শ্রাভেন বলেন, ‘ঋণ পাওয়ার অধিকার জনগণের জানার অধিকারগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত।’
অনুষ্ঠানে আইপিএস-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা হক রহমান ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নোরাম জানান, বিশ্বের ৫৫০ মিলিয়ন ক্ষুদ্র কৃষক পরিবার প্রায় দুই বিলিয়ন মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছে।’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বের দেশগুলোকে গ্রামীণ ব্যাংকের মডেল অনুসরণ করে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো উচিত যাতে কৃষকদের জন্য ঋণ সহজলভ্য করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি দেশে একটি সামাজিক ব্যবসা ব্যাংকিং আইন থাকা উচিত। সারা বিশ্বের অন্তত ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ব্যবসাকে একটি কোর্স হিসাবে পড়াচ্ছে।’
আরও পড়ুন: