রাজধানীর মহাখালীতে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও বিক্ষোভ থেকে নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেনের বেশ কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে গেছে এবং যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন জখম হয়েছেন। সোমবার সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রেলপথও অবরোধ করায় ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে অন্যান্য ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চলন্ত ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ট্রেন লক্ষ্য করে ইট–পাটকেল ছুড়তে থান তাঁরাকে। এতে ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে যাত্রীরা আহত হন।
ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি মহাখালী লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে ট্রেনটিতে হামলা চালানো হয়। এতে ট্রেনের জানালার গ্লাস ভেঙে যায়।’
আজ সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বনানীর প্রধান সড়ক ও মহাখালী রেল ক্রসিং অবরোধ করে রেখেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর এক কমান্ড্যান্ট বলেন, ‘এখন সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিল না।’
ট্রেনে হামলার ঘটনার পর তেজগাঁও স্টেশনে অন্যান্য ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেছেন, মহাখালীতে অবরোধের কারণে কমলাপুর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা আলাপ–আলোচনা করছি।
শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে মহাখালী এবং আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পথচারী ও গাড়িচালকরা চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: