জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে। আসামিরা হলেন– ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিব।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) আসামিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি আগামী ১৭ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ সময়ে প্রসিকিউশনকে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন আডভোকেট তাজুল ইসলাম। আসামি পক্ষে শুনানি করেন মো. সেলিম, শাহরিয়ার বিপ্লব প্রমুখ।
এর আগে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথমবারের মতো ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সাবেক একজন বিচারপতিসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করা হয়। এদিন রিমান্ডে থাকায় সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে হাজির করা হয়নি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ ১৪ জনকে হাজির করার কথা ছিল। সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক রিমান্ডে থাকায় আজ ১৩ জনকে হাজির করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে হাজির করা হবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের তোলা হয়, তারা হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম। তারা সবাই বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। শুনানি নিয়ে দুটি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণহত্যার অভিযোগে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে শেখ হাসিনাকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: