স্বৈরাচার পতনের অন্যতম কারিগর ছিলেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতা নাহিদ ইসলাম। সমন্বয়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন তিনি। বারবার নির্যাতিত হবার পরেও ভারত বিরোধী অবস্থানে অনঢ় ছিলেন নাহিদ।
নাহিদ সবসময়ই বিগত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রথম সপ্তাহেই সুন্দরবনে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময় কোটা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন নাহিদ।
২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহপাঠীদের নিয়ে ছাত্র সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি’ গঠন করেন তিনি।
ছাত্র আন্দোলনের সবচেয়ে পরিচিত মুখগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলেন নাহিদ ইসলাম। ছাত্রদের ব্যাপক বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়ে সামনের কাতারে চলে আসেন তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নাহিদ ইসলামকে ডিবি পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আঘাতের কারণে তার দুই কাঁধ ও বাম পায়ের রক্ত জমাট বেঁধে যায়। শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও নির্যাতন করা হয় তাকে।
কোনো নির্যাতনই দমাতে পারেনি নাহিদ ইসলামকে। সততা,সাহস ও দক্ষতার কারণে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান নাহিদ। দায়িত্ব পাওয়ার পরেও, আওয়ামী দোসর ও ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন নাহিদ ইসলাম।
এই নাহিদ ইসলামের ডাকেই ৫ আগস্ট গণভবনের দিকে আসতে থাকে লাখো জনতা। এর সাথে অবসান ঘটে টানা দেড় দশকের স্বৈরশাসনের।
আরও পড়ুন: