চট্টগ্রামে কফিল উদ্দিন নামে যুবলীগের এক কর্মী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করায় নগর জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে তিনি এই মামলা করেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় আজ বুধবার। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কফিল উদ্দিন হামলার শিকার হয়েছে বলে দাবি করলেও তিনি নিজেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের করা আরেক মামলায় আসামি। ১০ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় ২৭৮ জনকে আসামি (যুবলীগ কর্মী কফিলসহ) করে মামলা করেন মো. রাইয়ান নামে এক যুবক।
পুলিশ বলছে, যুবলীগ কর্মী পরিচয়ধারী কফিল চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপঅর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। বাবরের সঙ্গে যুবলীগের বিভিন্ন মিটিং-মিছিলেও অংশ নিয়েছিলেন কফিল। এ সংক্রান্ত একাধিক ছবিও নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে আছে। কফিল নন্দনকানন এলাকায় একটি থাই অ্যালুমিনিয়ামের দোকানে চাকরি করেন। কফিলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র, মাদকসহ তিনটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার হয়ে একাধিকবার কারাগারেও গেছেন তিনি। তবে গণমাধ্যমের কাছে কফিল উদ্দিনের দাবি, তিনি আওয়ামী লীগের সরকারের অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছেন। ছাত্র-জনতা দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি নিজে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। কোনো সুবিধার জন্য মামলা করেননি।
কফিলের করা মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মোতালেব, মজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ, পিবিআইয়ের সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামসহ ২৬ পুলিশ কর্মকর্তা। এ ছাড়া নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম, সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ, ওয়াসিম উদ্দিন, মোবারক আলীকেও আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: