বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও জামিন বাতিলের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর বাংলাদেশের চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া, হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর এবং মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, যেখানে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হামলাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে, সেখানে একজন ধর্মীয় নেতা এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পর তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সকল সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়।
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে আজ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত।
গতকাল সোমবার বিকেলে তাকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ৩১ অক্টোবর বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (যিনি পরবর্তীতে বহিষ্কৃত হন) চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটনার পর নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, যা এখনও সেখানে রয়েছে। ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ওইদিন চন্দন কুমার ধরসহ ৯ জন আসামির প্ররোচনায় অন্যান্য আসামিরা নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভ এবং আশপাশের এলাকায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং সেখানে স্থাপন করে। এর ফলে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: