অক্টোবরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা এবং তার বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিচার শেষে চূড়ান্ত রায় এলে ভারতের কাছে হাসিনার আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের অনুরোধ করা হবে। সেক্ষেত্রে উভয়দেশের স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আইন মানতে ভারত বাধ্য থাকবে।
সোমবার জাপানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট হেলিকপ্টারে চড়ে পালিয়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর আগে বিক্ষোভে মারা যান শত শত বিক্ষোভকারী।
তিনি বলেন, টানা তিন মেয়াদে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিলেন হাসিনা। তিনি নিজেকে এবং তার দলকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন। একজন ফ্যাসিবাদী শাসক হিসেবে হাসিনা পরিচিত।
শেখ হাসিনার বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের শাসন কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এখন পুনর্গঠনের কাজ করছি। গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা আমাদের কাজ।
তিনি রাজনীতিবিদ নন জানিয়ে ড. ইউনূস আরও বলেন, সবসময়ই রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছি। রাষ্ট্রের যে সকল ব্যক্তিরা নীতিকে সমুন্নত রাখেন, নিয়ম-কানুন অনুসরণ করেন এবং নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রাখেন তাদের নির্বাচনে দাঁড়ানো উচিত।
নির্বাচন ঠিক কখন হবে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে সংস্কার কাজের ওপর। কাজের ফলাফলই সময় নির্ধারণ করে দেবে। তিনি নিজে নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
আরও পড়ুন: