শুক্রবার

৩১ জানুয়ারি, ২০২৫
১৭ মাঘ, ১৪৩১
,

৪ শর্ত পূরণ হলে ফিরতে পারবে আওয়ামী লীগ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ২১:২১

শেয়ার

৪ শর্ত পূরণ হলে ফিরতে পারবে আওয়ামী লীগ
ফাইল ছবি।

বাংলাদেশের সূচনালগ্ন থেকে রাজনীতিতে প্রভাবশালী দল আওয়ামী লীগ বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দলটি নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালালেও, তাদের পুনরুত্থান সহজ হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলী রিয়াজ আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

তার মতে, আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান নির্ভর করবে চারটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণের ওপর।

আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের চারটি শর্ত

১. অপরাধের দায় স্বীকার ও ক্ষমা প্রার্থনা: দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামল এবং বিশেষ করে ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতার জন্য দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

২. দলীয় মতাদর্শে পরিবর্তন: আওয়ামী লীগকে তাদের পুরনো রাজনৈতিক নীতিগুলো পরিত্যাগ করে নতুন কৌশল গ্রহণ করতে হবে।

৩. শেখ পরিবার থেকে নেতৃত্ব সরিয়ে দেয়া: শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের কোনো সদস্য নেতৃত্বে না থাকলে দল পুনর্গঠনের সুযোগ পেতে পারে।

৪. নৃশংস অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা: মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অতীতে সংঘটিত সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

আলী রিয়াজের মতে, ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময় যারা গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের বিচার হতে হবে। শেখ হাসিনাও এর অন্তর্ভুক্ত। শুধুমাত্র এসব শর্ত পূরণ হলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

যদিও দলটির বিদেশে থাকা শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টকশোতে কর্মীদের পুনর্গঠনের আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা তা সেভাবে গ্রহণ করছেন না। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বিদেশে নিরাপদে থেকে বক্তব্য দেয়া সহজ, কিন্তু দেশে কর্মীরা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি।

আওয়ামী লীগের একাংশ মনে করছে, ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার ব্যর্থ হলে তারা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। সাধারণ মানুষ তাদের প্রতি এখনো আস্থাশীল নয়, বরং অতীতের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা অব্যাহত রেখেছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিজেদের অবস্থান পর্যালোচনা করা এবং রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকার জন্য নতুন কৌশল নির্ধারণ করা। তবে শর্তগুলো পূরণ না করলে তাদের প্রত্যাবর্তন কঠিন হবে।