শুক্রবার

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
১ ফাল্গুন, ১৪৩১
১৫ শা’বান, ১৪৪৬

সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ২০:২৭

আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ২০:৩০

শেয়ার

সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলা
সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও তার মেয়ে নাফিসা কামাল। ফাইল ছবি

সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও তাঁর পরিবারের নামে ১৬৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৮৫০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে ৪ মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১৬৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার বেশি মূল্যের ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের মামলা দায়েরের এ তথ্য দিয়েছেন।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ করা চার মমলার এজাহারে বলা হয়েছে, মুস্তফা কামাল ও তার স্ত্রী কাশমিরী কামালের ‘অবৈধ’ সম্পদের পরিমাণ যথাক্রমে ২৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩১ টাকা ও ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকা।

আর তাদের মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ সম্পদ যথাক্রমে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকা ও ৬২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকা।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের ৩২টি ব্যাংক হিসাবে ৪৪৬ কোটি ৪২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৮ টাকা, কাশমিরী কামালের ২০টি ব্যাংক হিসাবে ২৬ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ১৩৩ টাকা, কাশফি কামালের ৩৮টি ব্যাংক হিসাবে ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৮ টাকা ও নাফিসা কামালের ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৭ টাকা লেনদেন হয়েছে।

ক্ষমতার পালাবদলের পর ২০২৪ সালের অগাস্টে মুস্তফা কামালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তখন থেকেই তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না।

সে বছর ২২ অগাস্ট সাবেক অর্থমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুস্তফা কামাল এর আগের মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। গত মন্ত্রিসভায় তার জায়গা হয়নি।

তিনি বিসিবির ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সভাপতিও ছিলেন।

তার ব্যবসায়ী মেয়ে নাফিসা কামাল ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক হয়ে আলোচনায় ছিলেন বিভিন্ন সময়।