শনিবার

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
৯ ফাল্গুন, ১৪৩১
২৩ শা’বান, ১৪৪৬

গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল: তাজুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৭:৩৪

শেয়ার

গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল: তাজুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালে ৩য় পিটিশন ছিল পুলিশের সাবেক এডিশনাল এসপি এবং র‍্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে মারাত্মক। তিনি অসংখ্য মানুষকে গুম ও নির্যাতন করার সঙ্গে জড়িত। অনেককে এই আলেপ উদ্দিন গুম করে বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল। তাদের নিষ্ঠুরতম পন্থায় নির্যাতন করেছিল।’

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শক দেয়া, চোখ বেঁধে রাখা, উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানোর অভিযোগ এই আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।’

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সবচেয়ে মারাত্মক কাজ এই আলেপ উদ্দিন করেছিলেন, একজন আসামিকে গুম করে রাখার সময়ে তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। এমন তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। আমরা বিষয়গুলো ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এমন নিষ্ঠুরতম অপরাধীর অপরাধের তদন্ত করতে সময় লাগবে, কারণ প্রতিদিনই ভিকটিমরা আমাদের কাছে নতুন নতুন অনেক অভিযোগ নিয়ে আসছেন। এসব তদন্ত শেষ হলে তাদের ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া যেনো শুরু করা যায় সে জন্য আমাদের তদন্ত সংস্থা দিন রাত কাজ করছে।’

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে জুলাই আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক পুলিশ প্রধান এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালকসহ ১০ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুটি পৃথক প্রিজন ভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।