
মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় ইবাদতের মাস রমজান। রমজান এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। সেই সুযোগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বাড়াতে দেখা গেছে গত বছরগুলোতে।
গত বছরগুলোতে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। রমজান এলেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে নাভিশ্বাস ফেলতে হয়।
তবে এবছর রমজানে সেই চিত্র বদলেছে। অন্য বছরের তুলনায় এবছর মূল্যবৃদ্ধির পরিবর্তে মূল্যহ্রাস পেয়েছে অনেক পণ্যে।
২৪এ বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রথম রমজান মাস শেষ হতে চলেছে। গত বছরগুলোর তুলনায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এই রমজানে স্বাভাবিক আছে বলে বাজার ঘুরে জানা যায়।
কৃষিজাত পন্য উৎপাদন ও বাজারজাত সময়মত হওয়া, মূল্য বৃদ্ধি না পাওয়ার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি কমে যাওয়ায় বাজারে স্বস্তি ফিরেছে বলেও দাবী ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ছাড়াও গত বছরগুলোতে অস্বাভাবিক হারে লোডশেডিং হওয়ার অভিযোগ ছিল। তবে এই বছর রমজানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল বলেও স্বস্তি প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ।
গত কয়েক বছর রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোড-শেডিংয়ে অতিষ্ঠ ছিল বাংলাদেশের মানুষ। আওয়ামী সরকার পতনের পর বাজার সিন্ডিকেট অনেকটাই নির্মূল হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে কাঁচাবাজারে। চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হবে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।
বিস্তারিত: https://www.youtube.com/watch?v=O7MatNJZ7oE
আরও পড়ুন: