
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য আইএমও কাউন্সিলের ক্যাটাগরি সি-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।
সোমবার লন্ডনে আইএমও ডেলিগেটস লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এ ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, স্থায়ী প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ থেকে হাইকমিশনার এবং আইএমওতে স্থায়ী প্রতিনিধি আবিদা ইসলাম, ডেপুটি হাইকমিশনার হযরত আলী খান, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, কাউন্সেলর (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স) এবং বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন কাজী এ বি এম শামীম এবং কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মৌমিতা জিনাত উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বাংলাদেশের সামুদ্রিক ঐতিহ্য, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত অবস্থান এবং বিশ্ব বাণিজ্যে ক্রমবর্ধমান ভূমিকা তুলে ধরেন। প্রতি বছর ৫ হাজারের বেশি জাহাজসহ ৯৫টি সমুদ্রগামী এবং ২০ হাজারের বেশি উপকূলীয় জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে আসে।
টেকসই সামুদ্রিক উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি আইএমও’র কার্বনমুক্তকরণের যে লক্ষ্য রয়েছে, তার প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং জাহাজ রিসাইক্লিনিং দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদান করে আসছে বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ১২০-এর অধিক নারীসহ ২১ হাজারের বেশি প্রশিক্ষিত নাবিক নিয়ে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, নাবিক কল্যাণ এবং জেন্ডার অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা আইএমও সচিবালয়ে একটি বাংলাদেশি রেপ্লিকা জাহাজের মডেল উপস্থাপন করেন। ১৯৭৬ সালে আইএমওতে বাংলাদেশ সদস্যপদ লাভের পর থেকে এই প্রথম নৌপরিবহন উপদেষ্টার উদ্যোগে আইএমও সদরদফতরে বাংলাদেশি রেপ্লিকা জাহাজ স্থাপন করা হলো। রেপ্লিকা জাহাজের মডেলটি খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড, বাংলাদেশ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: