
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল হাসান জিসান হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে তার রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
পরে হেলমেট, বুলেট প্রুভ জ্যাকেট ও পেছনে হাতকড়া পরিয়ে তাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। শুনানি চলাকালে আবুল হোসেনের নাম ডেকে হাত ওঠানোর জন্য বলা হয়। তখন আবুল হাসান বলেন, 'হাত ওঠাব কেমনে, পেছনে তো হ্যান্ডকাপ লাগানো।
পরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
তিনি বলেন, 'আবুল হোসেন আলোচিত ব্যক্তি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়িতে প্রায় ৫০ জন ছাত্র-জনতার লাশ পড়ে ছিল। আন্দোলনে তিনি বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন। হত্যাচেষ্টা মামলায় তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
তার ৫ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থণা করছি।'
আবুল হাসানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। পরে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হন মঞ্জুরুল আলম জিসান (১৯)। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন তিনি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মো. তাজ উদ্দিন (৬৬) গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
মামলার ৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি আবুল হাসান। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: