শনিবার

১৯ এপ্রিল, ২০২৫
৬ বৈশাখ, ১৪৩২
২১ শাওয়াল, ১৪৪৬

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ২০:২৭

শেয়ার

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। ছবি: সংগৃহীত

পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা অন্বেষণের লক্ষ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'কিছু বাধা রয়েছে। আমাদের সেগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে বের করতে হবে।' প্রায় ১৫ বছর পর দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন বালুচ।অতীতের প্রসঙ্গ টেনে আমনা বালুচ বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উচিত 'দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানোর উপায় খুঁজে বের করা'।

তিনি বলেন, 'আমাদের নিজেদের অধিকারে একটি বিশাল অন্তঃআঞ্চলিক বাজার রয়েছে। আমাদের সেটিকে কাজে লাগানো উচিত। আমরা বারবার সুযোগ হারাতে পারি না।'বালুচ আরও বলেন, দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে নিয়মিত বিটুবি (ব্যবসায়িক) যোগাযোগ এবং সব স্তরে সফর বিনিময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠন এফপিসিসিআই-এর একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে এবং এফবিসিসিআই-এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, চলতি এপ্রিলের শেষ দিকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বরাবরই সার্ক কাঠামোর মধ্যে পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষপাতী।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে যুব ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময় বাড়ানো উচিত, যাতে দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।

তিনি বলেন, 'আমাদের সম্পর্ক স্থবির হয়ে পড়ায় আমরা দীর্ঘদিন ধরে একে অপরকে যথাযথভাবে জানার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলাম। এখন আমাদের সেই বাধাগুলো অতিক্রম করতে হবে।'

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এবং একই বছরের ডিসেম্বরে কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির ক্ষেত্রে এসব বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ভবিষ্যতেও সার্ক, ওআইসি এবং ডি-৮-এর মতো আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।সাক্ষাৎকালে এসডিজি–বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ উপস্থিত ছিলেন।

banner close
banner close