
বনশ্রীতে অনুমোদিত ভবন নকশার অতিরিক্ত অংশ এক্সেভেটর দিয়ে মুহুর্মুহু করে ভাঙছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজউক। এর আগে সকালে সাড়ে ১০টায় ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে রাজউক। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার কে ব্লকের ১৮ নম্বর রোডে দুইটি নির্মাণাধীন ভবন ভাঙা হয়।
শুরুতে বনশ্রীর এন ব্লকের নিউ রসূলবাগের আর এস দাগ নং-৭৮১ জায়গায় একটি বেজমেন্টেসহ ১০ তলা ভবনের অনুমোদন নেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সেখানে বেজমেন্ট ছাড়া ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিপিডিসিকে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করার নির্দেশ দেন ও বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করেন। একইসঙ্গে ভবন নির্মাণ মালিককে দ্রুত এসে দেখা করতে বলেন।
পরে দক্ষিণ বনশ্রীর কে ব্লকের ১৮ নম্বর রোডে ২১৪ নম্বর প্লটে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সেখানে একটি ভবনের একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছিল। কিন্তু সেখানে নির্মাণকাজে থাকা ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক রাজউক অনুমোদিত প্ল্যান দেখাতে পারেনি। ফলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিপিডিসি) তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার জব্দের নির্দেশ দেন। এরপর ১৯ নম্বর রোডের ১৭২ নম্বর প্লটেও একই অবস্থা দেখে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়।
১৮ নম্বর রোডের ২০২ নম্বর প্লটের নির্মাণাধীন ভবন মেপে দেখা যায় ভবনের সামনে পাঁচ মিটার খালি জায়গা রাখার কথা ছিল। কিন্তু সেটি রাখা হয়নি। এ বিষয়ে যোগাযোগের জন্য মালিকের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত অংশ ভাঙার নির্দেশ দেন। পরে রাজুকের এক্সেভেটর দিয়ে সেটি ভাঙা হয়।
দুপুর ১২টায় যাওয়া হয় একই সড়কের ১৯১ নম্বর প্লটে। ছোট ভবনটি সামনে ও পাশে নির্ধারিত জায়গা রাখার কথা থাকলেও সেটি রাখা হয়নি। পরে সেই অতিরিক্ত অংশ ভাঙার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযানের বিষয়ে রাজউকের উপ-পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, ‘এখানে রাজউকের অভিযান চলছে। ডিজাইন প্ল্যানের বাইরে অতিরিক্ত অংশ আমরা ভেঙে দিচ্ছি। অভিযুক্ত প্রত্যেকেরই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার জব্দ করা হয়েছে ডিপিডিসির মাধ্যমে। অভিযুক্তরা তাদের সংশোধন করে রাজউক চেয়ারম্যান মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ লাগাতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: